শরণাগতি
- তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন - 'সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ'। অর্থাত সব ধর্ম ত্যাগ করে আমার ভজনা কর। যুদ্ধের আগে অর্জুনের মনে ভয় ছিল যে যুদ্ধ করলে আত্মীয় বধের পাপ স্পর্শ করবে। তাই ভগবান তাকে বলেন - 'ধর্মাধর্ম নিয়ে তুমি ভাবছ কেন? কার কি ধর্ম সেসব নিরুপনের ভার আমার উপর ছেড়ে দাও,আমার শরণ নাও। আর তারপর নিশ্চিন্তে যুদ্ধ কর। কারণ যুদ্ধ ক্ষত্রিয়ের ধর্ম। এটাই হল যথার্থ শরণাগতি। সকাল ধর্মাধর্ম ঠাকুরের পায়ে সঁপে দিয়ে শরণাগত হওয়া আর তারপর নিজের কাজ করে যাওয়া। তবেই তো ঠাকুর এসে ধরবেন জীবনরথের রাশ।
প্রশ্ন উঠতে পারে - এই শরনাগতির বৈশিষ্ট কি? এবার সেই আলোচনায় আসা যাক।
শরনাগতির প্রথম বৈশিষ্ট হলো মনে নিশ্চিন্তভাব আনা। ভক্ত যখন তাঁর সমস্ত কিছুর সাথে নিজেকেও ঠাকুরের পায়ে সমর্পণ করেন তখন তাঁর মনে নিজের জাগতিক বা পারলৌকিক কল্যানের চিন্তাও আসে না। তিনি ভাবেন না - কি খাব, কোথায় থাকব,কিভাবে আমার দিন কাটবে? যতক্ষণ না নিজের আমিত্বের ভাব কাটছে ততক্ষণ এই অবস্থা আসেনা। তাই ভক্তের চেষ্টা করতে হয় - মন,বুদ্ধি,ইন্দ্রিয় বা দেহ এসবে যেন 'আমার'ভাব ঢুকতে না পারে। আর তাকে ভাবতে হবে - যে আমি আসল আমি নই সেই আমিকে নিয়ে কেন ভাবব? ঠাকুর নিজেই তো বলেছেন গীতায় ' মা শুচঃ',
অর্থাত চিন্তা কোর না। তাই চিন্তা করা মানে শরনাগতির অপমান। ভক্তকে ভাবতে হবে - আমার সবকিছুই ঠাকুরের আর আমিও তাঁর। তাই আমার কোন চিন্তাই থাকতে পারে না। যে ভক্ত শরণাগতি নিয়েও চিন্তা করে ঠাকুর তাঁর তল্পি বইতে আসেন না কিন্তু যে শরণাগত ভক্ত নিজের সবকিছু ঠাকুরকে সমর্পণ করে নিষ্কাম হয়ে কর্ম করেন ঠাকুর একমাত্র তাঁর পাশেই এসে দাঁড়ান পরমানন্দে।
(ক্রমশঃ)
প্রশ্ন উঠতে পারে - এই শরনাগতির বৈশিষ্ট কি? এবার সেই আলোচনায় আসা যাক।
শরনাগতির প্রথম বৈশিষ্ট হলো মনে নিশ্চিন্তভাব আনা। ভক্ত যখন তাঁর সমস্ত কিছুর সাথে নিজেকেও ঠাকুরের পায়ে সমর্পণ করেন তখন তাঁর মনে নিজের জাগতিক বা পারলৌকিক কল্যানের চিন্তাও আসে না। তিনি ভাবেন না - কি খাব, কোথায় থাকব,কিভাবে আমার দিন কাটবে? যতক্ষণ না নিজের আমিত্বের ভাব কাটছে ততক্ষণ এই অবস্থা আসেনা। তাই ভক্তের চেষ্টা করতে হয় - মন,বুদ্ধি,ইন্দ্রিয় বা দেহ এসবে যেন 'আমার'ভাব ঢুকতে না পারে। আর তাকে ভাবতে হবে - যে আমি আসল আমি নই সেই আমিকে নিয়ে কেন ভাবব? ঠাকুর নিজেই তো বলেছেন গীতায় ' মা শুচঃ',
অর্থাত চিন্তা কোর না। তাই চিন্তা করা মানে শরনাগতির অপমান। ভক্তকে ভাবতে হবে - আমার সবকিছুই ঠাকুরের আর আমিও তাঁর। তাই আমার কোন চিন্তাই থাকতে পারে না। যে ভক্ত শরণাগতি নিয়েও চিন্তা করে ঠাকুর তাঁর তল্পি বইতে আসেন না কিন্তু যে শরণাগত ভক্ত নিজের সবকিছু ঠাকুরকে সমর্পণ করে নিষ্কাম হয়ে কর্ম করেন ঠাকুর একমাত্র তাঁর পাশেই এসে দাঁড়ান পরমানন্দে।
(ক্রমশঃ)