Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Wednesday 31 December 2014

Murshidabader Pothe Pothe (Kiriteswari darshan) Part 3





Murshidabader pothe pother 3rd part agey dilam sobar jonye..Amader Sharonagoto Somprodayer Kiriteswari vromon o Jagadbandhu Sundarer jamosthan Mandir vromoner video..videote Kiriteswarir duti mandirer videoi ache..tobe jara jaben kheyal kore jaben je mandire kono murti nei sudhu jantro o Mayer shila ache setii asol mandir jekhane ache Brahmoshila..2015r agey sobai Makey darshan koro pranvore amader videor chokh diye

Murshidabader Pothe Pothe 1





Murshidabader Hajarduari,Jagatseth museum,Kathgola bagan o sobar upore Madhabikunja Sripat o Bishtupur Kalibari darshaner video amader Team Shoronagotor sathe..Natun bochorer goray sobaike ei video diyei janai aamr suvechha o valobasa..

Monday 13 October 2014

Bardhamaner 4 Satipeeth darshan with Tarashis Gangopadhyay



Amader Shoronagoto somprodayer Bardhamaner 4 Satipeeth vromoner video..You tubey porthombar eksathe..




Thursday 2 October 2014

Share Ami Tarashis Bolchi -an e-book by Tarashis Gangopadhyay.pdf - 456 KB

Collection of all my blogs in the e book - free download link for my readers..



Share Ami Tarashis Bolchi -an e-book by Tarashis Gangopadhyay.pdf - 456 KB

Share 3.Tarashis Gangopadhyay in Bhabsagorer teere bosey with Trisha Bose in Mahaashtami2014 at 91.9 friends fm..mp3 - 57 MB

Aaj Mahashtamir punyologne vor 5ta theke 6ta porjonto Friends 91.9 F.MeyBrajangana Trisha debir anushthan Bhabsagorer Teerey Bosey-te amar Mahashtamir gurutwo o 10 Mahabidya sombondhe adhyatmik alochonar aajkei chilo sesh porbo..sei recording sobar jonye tule deya holo..tomra beshirvagi anushthanti shune janiyecho amay je ei anushthanti tomader khub monomoto hoyeche..tai jara janiecho tader sobaike amar poksho theke anek dhonnobad amar sathe thakar jonye..aajker anushthaner mp3 formatey recorded fileti ekhane tule deya holo sobar jonye..sobaike janai subho Mahashtami jukto Mahanabamir shuvechha..



Share 3.Tarashis Gangopadhyay in Bhabsagorer teere bosey with Trisha Bose in Mahaashtami2014 at 91.9 friends fm..mp3 - 57 MB

Monday 22 September 2014

prokashito holo Ananter Jigyasa boitir dwitiyo khondo - (10 Mahabidyatotwo - RadhaKrishna totwo - Shibtotwo -Brahmototwo -Gurutotwo porbo)

Amar adhyatmik pother sathider jonye abosheshe prokashito holo Ananter Jigyasa boitir dwitiyo khondo - (10 Mahabidyatotwo - RadhaKrishna totwo - Shibtotwo -Brahmototwo -Gurutotwo porbo)..ei 5 ti totwo somporke alochona royeche ei boite..96 patar boitir mulyo 50 takai rakha hoeche sob pathokder kotha vebe..deerghodin amar Sharanagoto Somprodayer adhibesone je je sukshmo totwogulir uttor diechilam ta ebar sobar jonye boi akare prokash holo.. boiti collegestreeter Mahesh Library,Deys Publishing,Nath Brothers,Book friends o Girija Libraryte pouche gyachhe ar Sarbodaye boi jabe ei soptaher seshe somvoboto..sokol pathok pathikader dhonnobad ei boitir prokashonar jonye amay prerona joganor jonye..

Boiguli paoya jachhe jekhane -

1) Mahesh Library - 2/1, Shyamacharan De Street, Kolkata -73. ph. - 033-22417479
2) Dey's Publishing - 13, Bankim Chatterjee Street, Kolkata - 73. ph. - 033-22412330 / 22197920 e-mail - deyspublishing@hotmail.com
3) Dey Book Store - 17, Bankim chatterjee street, Kolkata -73.ph. - 65166695
4) Nath Brothers - 9, Shyamacharan De Street, Kolkata -73.ph.-033-22419183
5) Book Friends -8/b, Shyamacharan Dey Street, Kolkata -73.ph. - 9830224091
6) Sanskrit Pustak Bhandar - 38, Bidhan Sarani, Kolkata - 6. ph. -033- 22411208
7) Sarboday Book Stall - Howrah Station.

Monday 14 July 2014

পীড়া

পীড়া প্রসঙ্গে তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
পীড়া মানুষের জীবনের একটি বড় বন্ধু। সে পীড়া জাগতিক হোক বা মানসিক,শারীরিক হোক বা আভিচারিক তা আমাদের প্রারব্ধের খন্ডন করে। যত আমরা ভুগি জাগতিক কারণে তা সবই আশির্বাদ। কারণ আমরা জানি না যে আমাদের পিছনে তাড়া করে আসছে কত জন্মের প্রারব্ধ। সেই প্রারব্ধ না কাটলে আমরা তো পৌছতে পারবনা আমাদের লক্ষ্যে। তাইত ঠাকুর পীড়া দেন আমাদের,যন্ত্রণা দেন যন্ত্রণা মুক্তির জন্যে। আমাদের পথের প্রতিটি কাঁটা,প্রতিটি বাধা তাই আমাদের একটু একটু করে এগিয়ে দেয় সার্থকতার পথে। তাই যখন বাধা আসবে জীবনে,আমরা যেন ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা না করি বাধা কাটানোর জন্যে ,বরং যেন প্রার্থনা করতে পারি যাতে তিনি আমাদের বাধার সম্মুখীন হয়ে তাকে জয় করার শক্তি দেন। বাধাকে অতিকর্ম করে জয় করার মধ্যেই যে কাটে প্রারব্ধ ভোগ। মসৃন হয় পরবর্তী চলার পথ।
ভালো থাকবেন .. শুভেচ্ছাসহ
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়

Sunday 13 July 2014

প্রেম ও আসক্তি

                  প্রেম ও আসক্তি 
প্রেম হল মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু আমরা একে আসক্তির সাথে মিশিয়ে ফেলি। কিন্তু প্রেম আর আসক্তি দুই ভিন্ন। আসক্তি হল মোহ। মোহ  চেষ্টা করে প্রেমাস্পদকে নিজের বন্ধনে বেঁধে রাখতে  আর প্রেম নিজেকে বেঁধে নেই প্রেমাস্পদের সাথে। তাই মোহ আমাদের ভোগে বন্ধনের অসুখ। আর প্রেম আমাদের যোগায় মুক্তির আনন্দ সকল বন্ধনের মাঝে থেকেও। মোহ আমাদের কর্তৃত্বের বন্ধনে ফেলে কষ্ট দেয় কিন্তু প্রেম আমাদের কর্তৃত্বের সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি দেয়। মোহ চায় আমাদের দিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ করাতে আর প্রেম নিজের ইচ্ছাকে প্রেমাস্পদের সাথে মিলিয়ে দিয়ে তার ইচ্হায় সুখী হয়। তাইত প্রেম হল ধরার বুকে অধরা অমৃত। প্রতিটি মানুষ এমনকি সাধক পর্যন্ত তাই প্রেমের জয়গান গেয়ে থাকেন। বস্তুত প্রেম আর মোহের মধ্যে পার্থক্য একটাই - মোহ ভালবাসা আদায় করতে চায় স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে আর প্রেম নিজেকে নিস্বার্থ্ করে অমৃতের সাথে মিলিয়ে নেয় নিজেকে। তাই আমাদের উচিত অশুদ্ধ  মোহকে অগ্নিশুধ্ধি প্রেমে পরিনত করা -স্বার্থভাব ত্যাগ করে অপরকে ভালবাসা। তাতেই জীবন হয়ে ওঠে স্বর্গের সমতুল্য।  

Monday 7 July 2014

গুরু শিষ্য

                                                গুরু শিষ্য

   গুরু আর শিষ্যর সম্পর্কে থাকে এক অদৃশ্য বন্ধন - যাকে এক কথায় বলা যায় মুক্তির বন্ধন। প্রতিটি শিষ্যের জন্যে একজন গুরু নির্দিষ্ট থাকেন আর সেই শিষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় গুরুকেই। শিষ্যকে যে গুরু দীক্ষা দেন তার নেপথ্যে গুরুর নিজস্ব কোন স্বার্থ থাকেনা। থাকে একটাই লক্ষ্য - শিষ্যকে তার ঠিকানায় পৌছে দেয়া। আর সেখানে শিষ্য পৌছতে পারাই হচ্ছে গুরুর একমাত্র গুরুদক্ষিনা।
   গুরু যখন শিষ্যকে দীক্ষা দেন তখন আপন সাধনশক্তি দিয়ে সৃষ্ট উর্জাশক্তিকে তিনি মন্ত্রের সাথে শিষ্যের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করে দেন। এজন্যে কম শক্তি ব্যয় হয় না। এর ফলে দীক্ষার পর শিষ্যের একটা প্রারব্ধের অংশ গুরুকে টেনে নিতে হয়। জগতের অন্য কোন সম্পর্ক কিন্তু কারোর প্রারব্ধ নেয়  না কোন কারণেই। একমাত্র গুরুই এই প্রারব্ধ টানেন। শুধু তাই নয়। এরপর শিষ্য অনেকসময়েই নানা ভুল করে,অন্যায় করে আর তার শাস্তির একটা বড় অংশ গিয়ে পরে গুরুর উপরে।দোষ করে শিষ্য আর প্রারব্ধ ভোগেন গুরু।  তাই দীক্ষার পর প্রতিটি শিষ্যের উচিত - কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে গুরুর থেকে মত নেয়া। গুরুর প্রতি কখনোই অসম্মান প্রদর্শন করতে নেই। তাতে ইষ্ট রুষ্ট হয়ে যান। আর গুরু যদি কখনো শিষ্যের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মন্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হন তখন শিষ্যের প্রতি যে ঘর বিপত্তি নেমে আসে তা সামাল দেয়ার শক্তি কিন্তু জগতে কারোরই থাকেনা। এমনকি ইষ্ট নিজেও সেই শিষ্যকে বাচাতে যান না।
   সাধারনত শিষ্য যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন গুরু তাঁর জপ বাড়িয়ে দেন যাতে শিষ্য তার জপের শক্তিতে তাড়়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। একইভাবে শিধ্যের কর্তব্য - গুরু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া যাতে গুরু সুস্থ হয়ে ওঠেন।কারণ গুরুর অধিকাংস ভোগ আসে শিষ্যের দুর্ভোগ থেকে। তাই শিষ্যের কর্তব্য - সেটি যথাসম্ভব কম গুরুর উপর চাপানো। উত্তম শিষ্যরা এটাই করে থাকেন। যেমন কুলদানন্দ ব্রহ্মচারী করে দেখিয়েছিলেন বিজয়্কৃশ্ন গোস্বামীর জন্যে।
  আসলে শিষ্য এবং গুরুর মধ্যে একটা জ্যোতির সংযোগ  সৃষ্টি হয়ে যায় যা গুরুর সাথে শিষ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলে আলোর দিকে। তাই এই যাত্রায় দুজনের সাধনশক্তিরই প্রয়োজন পড়ে। যেখানে একইসাথে দ্রোনের মত গুরু আর অর্জুনের মত শিষ্য  থাকে সেখানে অগ্রগতি হয় দ্রুত দুজনের মিলিত শক্তিতে কিন্তু যেখানে "গুরু আছেন,তিনি দেখবেন,আমি যা করার করি"ভাবনা নিয়ে শিষ্য চলে সেখানে বুঝতে হবে গুরু দিকপাল হলেও শিষ্যের জন্যে তার ফাটা কপাল। অর্থাত সেখানে দুজনেই পিছিয়ে পড়বে। তাই শিষ্যের সবসময়ে উচিত -গুরুর প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে অত্র দেখানো প্রণালীতে ঠিকমত জপ ধ্যান এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তবেই সার্থক হয় গুরু শিষ্যের অমৃতের পথে যাত্রা।  

Wednesday 4 June 2014

চন্ডীর অসুরদের প্রতীক রূপ

                        চন্ডীর অসুরদের প্রতীক রূপ 

মালা গাঙ্গুলী - দাদা,চন্ডীতে আমরা তিনবার অসুরদের আবির্ভাবের কথা পাই। এদের কি কোনো প্রতীকি অর্থ আছে?
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় : আছে বৈকি। চন্ডীতে মা তিনবার আবির্ভুত হয়েছিলেন তিন অসুর প্রবৃত্তির বোধের জন্যে। প্রথমবার মধু কৈটভ বধের জন্য,দ্বিতীয়বার মহিষাসুর বধের জন্যে আর তৃতীয়বার শুম্ভ নিশুম্ভ বধের জন্যে। এই তিন অসুরেরই  আছে প্রতীকি রূপ। 
মালা গাঙ্গুলী - মধু কৈটভ কিসের প্রতীক দাদা?
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় : মধু কৈটভ হল মায়া ও মোহের প্রতীক। সৃষ্টির প্রথমে তারা আবির্ভুত হয়ে ব্রহ্মাকেই আক্রমন করেছিল। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ব্রহ্মা অনন্ত শয়ানে শায়ী নারায়নের কাছে যায়। কিন্তু নারায়ণ যে তখন যোগনিদ্রায়। তাই তিনি দেবী চন্ডীর আবাহন করেন। অর্থাত - জীবনের শুরুতেই জীবকে আক্রমন করে মায়া ও মোহ। এরা আমাদের আসক্তির দুই রূপ। আমরা যাতে দৈবী সম্পদ লাভ করতে না পারি সেজন্যেই এই দুই আসুরিক বৃত্তি আমাদের চেতনাকে বেঁধে রাখে গন্ডিতে। মনের হুঁশ নিয়ে তো মানুষ। কিন্তু এই আসুরিক প্রবৃত্তি আমদের মনের হুঁশ কেড়ে নিয়ে তাকে বিষয়ে বেঁধে রাখে। আর তাই এর বধ আবশ্যক। আমাদের সসীম আমি হল অসুর আর অসীম আমি হল দৈবিশক্তি। তাই আসুরিক সন্কির্তন্তা থেকে মুক্তি পেতে আমার আসল আমি বা সোহং সত্বাকে জগতে হয় যা একমাত্র আমাদের মুলাধারে অবস্থিত মা জগতে পারেন। বিষয়কে দুরে সরিয়ে তাঁর সরণ নিলেই হয় এই মধু কৈটভ বধ আর সেটাই হল সাধকের প্রথম যুদ্ধের জয়। 
                 
মালা গাঙ্গুলী - দাদা, মহিষাসুর কিসের প্রতীক ?

তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় : মোহ এবং আসক্তি রক্ষা পেয়ে সাধক যখন সাধনায় মনোনিবেশ করে তখন তাকে আক্রমন করে কর্তৃত্ব  বন্ধন। এই কর্তৃত্বের বন্ধনের প্রতীক হল মহিষাসুর। এই অসুর  দিব্য ভাব হরণ করে তাকে জড়িয়ে দেয় কর্তৃত্বের বন্ধনে। সে তখন প্রতিষ্ঠা লাভের চেষ্টা করে সবার উপরে। অনেকটা  মহিষাসুরের স্বর্গ জয়ের মত। একে জয় করতেও প্রয়োজন হয় দেবিশক্তির আবাহন। অর্থাত আগে চাই পুরুষকার (যা জ্ঞানের প্রতীক) এবং তার মাধ্যমে নিজে উদ্যোগী হয়ে শরনাগতির (যা ভক্তির প্রতীক) চেষ্টা।এই দুইর মিলন ঘটলেই শক্তি জাগরিত হয় এবং তাতেই আমাদের মনের অসুর মহিষাসুর রুপী কর্তৃত্বের বন্ধন কাটিয়ে ওঠা যায়।

মালা গাঙ্গুলী - শুম্ভ নিশুম্ভ কিসের প্রতীক দাদা?

তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় : শুম্ভ নিশুম্ভ হল অহংকার ও অভিমানের প্রতীক। সাধনার দুটি স্তর অতিক্রম করার পর  শেষ স্তরে  এই দুটি অসুর মনের মধ্যে জেগে ওঠে তাদের আসুরিক ভাব বজায় রাখার জন্যে। সাধকের অহংকার জাগানোর জন্যে কিছু গুনমুগ্ধের তোষামোদ তার মধ্যে জাগে অহংকার। আর সাধক তাদের স্তুতিতে ভুলে নিজের অহংকারকে এবং অভিমানকে ভগবান ভেবে বসে। এই অহংকার বড় ভয়াবহ। কিছুতেই  না। যতই তাকে মারার চেষ্টা কর সে আবার জেগে ওঠে। এই দুই অসুরকেও বধের অস্ত্র শরনাগতি। সাধকের সামনে যতই তোষামোদ কেন,তার নিজেকে মনে করতে হবে তৃনাদপি ক্ষুদ্র এবং সে যাই করুক না কেন,যত বড় কাজই সে করে থাকুক না কেন,তার অন্তরে বিশ্বাস রাখতে হবে যে সবই হয়েছে ঠাকুরের কৃপায়। সে শুধুমাত্র নিমিত্ত। এই জ্ঞান অন্তরে জাগলে আসে শরনাগতি আর তাতেই বধ হয় আমাদের অন্তরের শুম্ভ নিশুম্ভ।

Tuesday 3 June 2014

ছলনা ও ধর্ম

              ছলনা  ও ধর্ম 

আমাদের যুগ কলিযুগ। অধর্মে  ছেয়ে  গেছে এ যুগের সবকিছু। কিন্তু তাই বলে অধর্মের কাছে আত্মসমর্পণ করা তো চলবেনা। অধর্মকে বধ করাই ধর্মের পথের পথিকের ব্রত। তোমরা বলতে পারো - অধর্মের শক্তি অশেষ। ছলনা তার মূল অস্ত্র। ধর্মের পথের পথিক তো সেই অস্ত্রে বঞ্চিত। কিন্তু কৃষ্ণ কি বলেছেন মনে পরে ? অধর্ম যদি ছলনার শক্তিতে সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠে তবে ধর্মরক্ষার জন্যেও ছলনার আশ্রয় নেয়া পাপ নয়। অর্থাত - যদি তোমার একাগ্রতা থাকে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্যে,অশুভকে পরাস্ত করে শুভকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে,সেক্ষেত্রে মানুষের ভালোর জন্যে তুমি যদি ছলনার আশ্রয় নাও তবে তা পাপ নয়। পাপ ও পুণ্য আপেক্ষিক। ছলনা তখনি পাপ যখন তা অন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করে,কিন্তু যখন অন্যায়ের শেষ করার জন্যে ছলনার ব্যবহার হয় তখন তা পাপ নয়। শ্র্রীরামচন্দ্রের বালীবধ ও শ্রীকৃষ্ণের উপদেশে ভীস্ম,দ্রোণ ,কর্ণ ,দুর্যোধন বধ তার-ই ইঙ্গিত দেয়। ছলনা যে যুগের আশ্রয় সে যুগে ধর্মরক্ষায় ছলনা পাপ নয়। তবে যদি সেই ছলনা শুধু নিজের লাভের জন্যে করা হয় তবে তা অবশ্যই পাপ ও পরিত্যাজ্য। 

Tuesday 27 May 2014

জীবন একটি বিদ্যালয়

            জীবন একটি বিদ্যালয় 
আমাদের জীবন একটি বিদ্যালয়। এখানে আমরা সবসময়ে শিখি। শিখতে শিখতে আসি,শিখতে শিখতে যাই। তাই কখনই ভেবে নিতে নেই যে আমাদের সব শেখা হয়ে গেছে। ধারা যদি ভাবে তার সব পাওয়া হয়ে গেছে তবেই তো ধারার মরণ। তাই বয়ে আমাদের যেতে হবে আমৃত্যু। শিখতেও হবে আমৃত্যু। জীবনে আমদের কত সমস্যা আসে। এ যেন বিদ্যালয়ের সেই algebra ক্লাসের মত। যেদিন প্রথম algebra ক্লাস হয় সেদিন আমি ভেবেছিলাম এটা বোধহয় কোন আরবীয় জেব্রার ব্যাপার। আরবীয়দের নামের আগে "আল " শব্দটা বসে তো। সেটিও ছিল আমার একটি সমস্যার ক্লাস। কিন্তু সেই ক্লাসও একসময়ে শেষ হয়ে যেত। আসত আমার প্রিয় বাংলা ক্লাস,ইংরেজি ক্লাস ও ইতিহাস ক্লাস। এরকমভাবেই সমস্যা হল আমাদের জীবনের বিদ্যালয়ের ওই algebra ক্লাসের মত। পড়তেও হবে,পরীক্ষাও দিতেই হবে। তার থেকে বাঁচা যাবেনা। তবে ওটুকুই। সমস্যা জীবন না - জীবনের অংশমাত্র। এই জীবনের বিদ্যালয়ে এরকম ক্লাস তো থাকবেই - ক্লাস শুরু হবে,শেষ হবে কিন্তু সেই সব ক্লাসের থেকে আমরা কি শিখলাম সেটাই আসল। সেটাই আমাদের আসল শিক্ষা। আমাদের আসল লাভ। সমস্যাকে সামলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা। 

Saturday 17 May 2014

প্রকাশিত হল আমার নতুন বই " যেথা রামধনু ওঠে হেসে"

 প্রকাশিত হল আমার নতুন বই " যেথা রামধনু ওঠে হেসে"

আজকে প্রকাশিত হল আমার নতুন বই " যেথা রামধনু ওঠে হেসে".. পাঠক পাঠিকারা দীর্ঘ দিন এই বইটির জন্যে অপেক্ষা করেছিলেন। তাই এই বই প্রকাশের লগ্নে তাঁদের সবাইকে জানাই আমার অভিনন্দন। এই গ্রন্থটি মূলত পাঠক পাঠিকাদের অনুরোধেই প্রকাশ করা হল। .তাই এই লগ্নে তাঁদের সবাইকে জানাই আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। বইটি বর্তমানে কলেজ স্ট্রিটের মহেশ লাইব্রেরি,সংস্কৃত পুস্তক ভান্ডার,দে বুক স্টোরে ও দেজ publishing এ পাওয়া যাচ্ছে। বইটি সবার ভালো লাগলেই সার্থক হবে এর প্রকাশ। 
                                ধন্যবাদান্তে

                          তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 


Friday 31 January 2014

সাধনপথে চলতে হলে ২

     সাধনপথে চলতে হলে ২

         তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

অনেকেই আমাকে বলে -  সংসারের সব কাজ সেরে কাজ সেরে আর সময় পাইনা ঠাকুরকে ডাকার।উত্তরে আমি বলি - সংসারের সব কাজের জন্যে সময় মিলছে অথচ সেই কাজের কোনো ফল সঙ্গে যাবেনা আর এটা জেনেও যে কাজের ফল সঙ্গে যাবে তার জন্যে সময় নেই ? আমি জোর দিয়ে বলি - যেমন করে হোক,যেভাবে হোক জপ করবে। ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৯০ মিনিট  জপের জন্যে দাও। তাও না পারলে অন্তত এক ঘন্টা।ধর তোমার কোনো প্রিয়জন বিদেশে আছে,সেক্ষেত্রে কি হয়,সব কাজ করলেও মনটা পড়ে থাকে তার কাছে। ভগবানকেও সেভাবে ভাবতে হয়। সেইসাথে প্রতিদিন শোবার  সময়ে নিজের সারাদিনের সব কাজ -ভালো মন্দ সমর্পণ করবে ঠাকুরকে আর বলবে আমার সব তুমি নাও আর সব নিয়ে আমাকে তোমার করে নাও। সেইসাথে শ্বাসে শ্বাসে নাম জপ বা যারা বীজমন্ত্র পেয়েছ জপ করে যাও। ব্যাস,তাতেই হবে। নাম নামী যে অভেদ। এটুকু করলেই তাঁর কৃপা অন্তরে পাবে। আর কিছু না পড়েও জ্ঞান জেগে উঠবে অন্তরে আপনা থেকেই। 
  

Thursday 30 January 2014

সাধনপথে চলতে হলে

                           সাধনপথে চলতে হলে

 আমার কাছে এসে অনেকেই দীক্ষা চায়।কিন্তু আমি তাদের বলি  -  সাধনপথে চলতে হলে প্রথমেই দীক্ষা হবে না। আগে দীক্ষার জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। নিজেকে তৃনাদপি ক্ষুদ্র মনে করতে হবে। মনকে  ইচ্ছাশুন্য করতে হবে এবং অহংকার  হবে। মনে কোনকিছু নিয়ে  তামাশা বা অলৌকিকের magic দেখার বাসনা থেকে নিবৃত্ত করতে হবে। সেইসাথে শাস্ত্রপাঠ ,সত গ্রন্থ পাঠ , সত্সংগ করে যেতে হবে যত সম্ভব। ধরা যাক - মনে কোন কিছুর উপর লোভ এলো। হয়ত ইচ্ছা জাগলো - এখন কিছু রসনার তৃপ্তির জন্যে খেতে হবে। তখনই চেষ্টা করবে লোভ সামলানোর।খাও পরিমিত। কথা বল কম। যেটুকু বল সত্যি বল। মনে কিছু নিয়ে জল্পনা কল্পনা কোর না।  আর কখনই মনে করবে না তোমার কিছু দরকার কারণ তোমার যা দরকার তা তোমার চেয়ে বেশি ভালো জানেন ঠাকুর। তিনিই ব্যবস্থা করবেন। 
   এই জায়গা গুলো আয়ত্ত করার  জন্যে নাম জপ খুব কাজে দেয়। তাই আমি তাদের বলি -রাতে নির্জন ঘরে বা ঘরের নিরালা কোণে নিজের পছন্দের ইষ্টনাম অন্তত এক বছর জপ কর। সেইসাথে রাত চারটায় উঠে পারলে স্নান করে আর নাহলে শয্যাশুদ্ধি করে অন্তত এক বছর জপ কর। যখন এভাবে জপ করতে করতে মন স্থির হয়ে আসবে তখন শ্বাস কুম্ভক করে চোখ বন্ধ রেখে ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করে তার মাঝে মন নিবিষ্ট করে জপ কর। তারপর শুধু তাঁর শ্রীচরণ  দেখে মন্ত্র জপ কর। তাতেই সব হবে। মাঝে মাঝে নিস্তব্ধ রাতে জপের পর ভ্রামরী প্রাণায়াম করে কানে আঙ্গুল দিয়ে শুনতে পারো  - তাতে ঝিল্লি,বাঁশী ,মেঘগর্জন,ঘন্টা,কাঁসা,ভেরী,তুরী এরকম নাদ  শুনতে পাবে। তারপর বীজমন্ত্র পেলে সহজেই কাজ দেবে।সেইসময়ে শুধু চেষ্টা করতে হবে মন যাতে আজ্ঞাচক্রে বা তার উপরে থাকে। এভাবে যোগে বসে জিভকে তালু মূলে রেখে বীজমন্ত্র জপ করলে প্রথমে  শোনা যাবে প্রণব ধ্বনি আর তাতে মন নিবিষ্ট করতে পারলেই আসবে সমাধী। 

Thursday 16 January 2014

আমার "কেদারনাথে আজো ঘটে অঘটন" গ্রন্থ সম্পর্কে আমার কয়েকজন বিশিষ্ট পাঠক পাঠিকার বক্তব্য - Facebookএ।

আমার "কেদারনাথে আজো ঘটে অঘটন" গ্রন্থ সম্পর্কে আমার কয়েকজন বিশিষ্ট পাঠক পাঠিকার বক্তব্য -  Facebookএ।   





Wednesday 1 January 2014

ধ্যান

                            ধ্যান 

   ধ্যান কাকে বলে? নিজের সত্বায় ফিরে যাওয়ার উপায় হল ধ্যান। আমাদের আসল সত্বা অসীম অনন্তর অংশ। তাকে নিজের মধ্যে অনুভব করাই ধ্যান।
একটি সহজ উপায় বলি ধ্যানের জন্যে। প্রথমে একটি কম্বলের আসনে বস। মেরুদন্ড সোজা করে। হাত রাখো চিনমুদ্রায়।
দু চোখ বন্ধ কর। নিজেকে প্রথমে মনিপুর চক্রে নাভিতে কল্পনা কর। নিজের চারপাশে যে মাংসের শরীর আছে তা ভিতর থেকে কল্পনা কর। দেখো মাথার শিরোভাগে আছে মস্তিস্ক। আর পিছন দিকে আছে মেরূদণ্ডের অস্থিসন্ধি। ধড়-এর মধ্যে আছে হৃদযন্ত্র,যকৃত,পাকস্থলী প্রভৃতি। তার মাঝের যে শুন্য অংশ সেখানে অনুভব কর নিজের সুক্ষ্ম শরীর।তার মধ্যে দিয়ে একটি milky way বা আলোর পথ উঠে গেছে উপরপানে। দেখতে থাক মনের চোখে এর মধ্যেই আছে সৌর বিশ্ব।এর মধ্যে তোমার চোখ দুটি যেন সূর্য,চন্দ্র। উপলব্ধি কর সব প্রাণীর প্রতি ভালবাসা তোমার হৃদয়ে। নিজের দেহের cell গুলো অনুভব কর নদীর মত,তোমার ত্বক যেন আকাশ,দেহের হাড় যেন পাহাড়। নিজেকে বল - তোমার মন হল সকল প্রাণীর মনের মিলনস্থল ,তোমার হৃদয় সকল প্রাণীর হৃদয়ের মিলনস্থল এবং তোমার ভালবাসা সকল প্রাণীর ভালবাসার মূর্ত রূপ। তারপর শুরু কর মনের উড়ান। চোখ বন্ধ করে কল্পনা করতে থাক যেন তুমি উড়ে যাচ্ছ অনন্ত মহাশুন্যের মধ্য দিয়ে। মনের চোখে দেখতে থাক - তোমার মধ্যেই আছে সমস্ত সৌরবিস্ব,সূর্য চন্দ্র,গ্রহ তারা।

এবার নিজেকে অনুভব কর অনাহত চক্রে আসন পেতে বসে আছ তুমি আত্মা। তোমার সামনে আকাশের একটা আবছা আবরণ। তার মধ্য দিয়ে একটি সোনালী রঙের সুড়ঙ্গ চলে গেছে সামনের দিকে - প্রশস্ত এই সুড়ঙ্গ। তার মধ্যে দিয়ে উড়ে যাও তুমি উপরপানে দুরে - আরও দুরে। অনেকটা দূর যাবার পর দেখবে এই হলুদ  সুড়ঙ্গ যেখানে শেষ হচ্ছে সেখান থেকে একটি নীল সুড়ঙ্গ এগিয়ে গেছে সামনের দিকে। এটি আগেরটির আয়তনে অর্ধেক। এর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাও আরও হাজার হাজার মাইল। যেখানে এই নীল সুড়ঙ্গ শেষ হচ্ছে সেখানে দেখবে একটি বিরাট রুপোর দ্বার। সেটি বন্ধ। তার সামনে গিয়ে নিজের ইস্ট দেবতার কাছে প্রার্থনা করবে - ঠাকুর আমাকে তোমার কোলে টেনে নাও। আমাকে অনুভব করাও  আমার আমিকে। এই পর্যন্ত বলে বল ঠাকুর শরণাগত। তারপর অনুভব কর এই দ্বার খুলে যাচ্ছে আর তুমি দ্বারের মধ্য দিয়ে এসে পরেছ অসীম অনন্ত জ্যোতির মাঝে। এই জ্যোতির মাঝেই ডুবে থাক যত ক্ষণ মন চায়। যখন ফেরার প্রয়োজন হবে তখন "ঠাকুর আমি এবার আসি" বলে সেই রুপোর দরজার মধ্যে দিয়ে প্রথমে নীল সুড়ঙ্গ ও তারপর সোনালী সুড়ঙ্গ কল্পনা করে তার মধ্যে দিয়ে ফিরে এস অনাহত চক্রে। তারপর চোখ খুল। প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে বিছানায় বসে ১০ মিনিট এই ধ্যান করার চেষ্টা কর। দেখবে জীবনে এক নতুন আনন্দ অনুভব করবে। আজ ২০১৪ সালের প্রথম দিন আমার "শরণাগত
সম্প্রদায়"এর ভক্তদের জন্যে দিলাম এই ধ্যানের পাঠ। সবার মঙ্গল হোক।