Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Friday 18 December 2015

Jeebon Theke Mahajeeboner Pothe sombondhe

 Amar natun boi Jeebon Theke Mahajeeboner Pothe prosonge kayekti mantobyo
e adhyatmik jogote esechen tar ek apurbo monkara biboron.Seisathe dadar kothopkothon jyethur sathe anobodyo.Tarashisdadar sadhok sotya ebong sahityik sotwa ekhane jeno milemishe ek hoye gyache.Jemon anupom hasyoros,humour tini diyechen temoni prankara sob biboron,abar tar modhyei tar sadhonpother sopan kivabe toiri hoyeche.koto aloukik avigyotar sakshi dada.Tar purbojonmer forecast theke tar asol ruptike jeno ekhane amra peyechi.Amar drirho biswas eti Yoganandojir Autobiography of a Yogir motoi ek anupom adhyatmik sompod hobe amra jara dadar boi valobasi ar jara dadar boi pore valobasbo tader sobar jonye.Adhyatmik o sahitwik jogoter ek apurbo melbandhan ekhane pelam dadar dui sotwar milone. ar boitir mulyo eto kom je bolar noy.ajker dine 288 patar boi,16 pata byapi photo othocho dam matro 90 taka.Dada boi lekhake sadhna bole dyakhen bolei hoyto eto kome emon apurbos rishti amader dite paren.Boiti pore ami avivuto.ami gorbito je ami dadar shishya.
 ​
Ei matro ses holo jiban theke mohajibaner pothe pora. Janina e somporke ki bolle jothajotho bola hobe. Dadar protiti boi e adhyatmo pother Dishari der kachhe omulyo sompod. Tobuo ei boitir kotha alada kore bolte e hoy. J bot gachh aj amader sneho chhaya diye protimuhurte agle rekhechhe taar bij theke mohiruhe porinoto hobar journey ta sotti opurbo. Gurur proti biswas r shoronagoti thik kemon hoya uchit ta sikhlam ei boiti pore. Shakto vaishnab e je asole kono parthokyo nei ta sunechhilam kintu dadar jiban e er j prokash ta sotti ovivuto holam. Aponi achari dhormo sunechhilam dadar ei boiti te jeno proti muhurte taar punkhanupunkhyo prokash. Sadhu songer bornonay trishito Mon tripto holo. Taar songe lekhar vongi r o monograhi kore tulechhe boitike.

ar jiboner dhara je khaatey bahito hoyeche tar thekei bojha jay je ini sadharon manob non. Sadhok-sadhika pitamatar sontan hisebe choto thekei enar bohu sadhu sonyashir sathe melamesha korar sujog hoyeche. Nijer pita totha gurur provaab jemon lekhoker jibon gothon korte sahajyo koreche, temoni onyano sadhok sadhikar adhyatmik sannidhyo o vishon vabe onake provabito koreche adhyatmik pothe. Jiboner bivinno porjaye bohu swanamdhonyo uchhokotir sadhur kripa ini peyechen. Tnara lekhoker ja vobishyot bani korechen ta je foley geche ta aamra bortomane dekhtei pai. Boitir protiti adhyay jeno bare bare janiye diyeche je ini sadharon to non, nahole emon vabe eto uchhokoti mahatmar kripalaav to sohoj noy. Ek doibo vabey achhono hoye gechi jokhon jante perechi enar ager jonmer sidhhilaver kotha. Setar sfuron jokhon eijonme ghotlo, tar prokaash er kotha porte porte ritimoto shihorito hoyechi. Shudhu tai noy, Tarapithe sokoler chokh eriye lekhoker ek doibo akorshoner boshe bivor hoye thakar ghotonatao kom bismoykor noy. Chotobelar dinguloo khoob sundorvabe barnito hoyeche ja porte porte kokhono khoob hashi peyeche aabar kokhono dukhye kontho rodh hoye chokhe asrurekha dekha diyeche. Jiboner protiti adhyayer ullekhjogyo ghotonaguli khoob bistarito vabe barnito hoyeche biotite; sob ekhane likhe dile jara porenni boiti, tader proti obichar kora hobe. Tai aar beshi detail e na giye eitukui bolchi je boiti porte porte bare bare mone hoyeche aami sotyi khoob vagyobati je Iswar aamay kripa kore manushrupi emon mahatmar sannidhyo korar sujog diyechen. Iswarprerito ei doot jeno jogoter aaro bohu manusher mone adhyatmik chetonar unmesh ghotiye tader alor pothe bohudur egiye dyan, ei sotkamonai kori. Mongolmoy Vogowan enar sarbik mangol korun!

Sunday 18 October 2015

JEEVAN THEKE MAHAJEEVANER POTHE

My new book JEEVAN THEKE MAHAJEEVANER POTHE has been published for all of you..

JEEVAN  THEKE  MAHAJEEVANER  POTHE

                                            by      TARASHIS GANGOPADHYAY

(This attractive book is a fascinating trip down the memory lane of a saint spiritual writer Tarashis Gangopadhyay, that tells us how he has been inspired by his Gurudeb, numerous saints and glorified souls since childhood to proceed towards the spiritual path from an ordinary path of life. It also tells us how he has been guided by his Ishta-Devata Lord Gopala throughout his journey of life upto his diksha and how his life has been shaped and moulded towards spirituality by Lord Gopala's grace)



http://spiritualbooksoftarashisgangopadhyay.blogspot.in/2015/10/item-name-jeevan-theke-mahajeevaner.html



Sunday 4 October 2015

ঈশ্বরের কৃপা আমরা কেন অনুভব করতে পারিনা?

ঈশ্বরের কৃপা আমরা কেন অনুভব করতে পারিনা?
                                     - তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

   অনেকেই বলেন -ঈশ্বর আমাদের দেখেন না। আমাদের থেকে দুরেই থাকেন কারণ তাঁর  কৃপা আমরা পাই না।কিন্তু তা কি সত্য?
  আমি তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলি - শীতকালে যখন প্রচন্ড ঠান্ডা নামে তখন আমরা আগুনের কাছে এসে বসি। এতে কি হয় ? আগুনের তাপ আমাদের উষ্ণতা যোগায় এবং আমাদের উপরে নেমে আসা শীতের প্রকোপ কাটিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা যদি আগুনের থেকে দুরে গিয়ে বসি আর অনুযোগ করি যে আগুন আমাদের কৃপা করল না  সেটা কি আদৌ হাস্যকর নয়? একইরকম হাস্যকর এই কথাটিও যে ঈশ্বর আমাদের দেখেন না। আমরাই তো জোর করে তাঁর থেকে দুরে সরে থাকি। তাহলে আমরা কিভাবে ঈশ্বরের কৃপারূপ উষ্ণতা নিজেদের মাঝে অনুভব করব? ভেবে দেখুন তো - জাগতিক দরকার ছাড়া আমরা কি আদৌ তাঁকে স্মরণ করি ?আদৌ তাঁর শরণ নিই? তাঁর কাছে যাওয়ার জন্যে সাধনা না করলে,জপ না করলে,নাম না করলে,জীবে প্রেম না করলে কিভাবে তাঁর কৃপা অনুভব করব? কিছুই না করে ঈশ্বরের প্রতি অনুযোগ করলে তাঁর কৃপা অনুভব করা যায় না - কৃপা লাভ হয় তাঁর প্রীতির জন্যে যথার্থ ভালো কাজ করলে।  

Saturday 26 September 2015

শরণাগতি

                                          শরণাগতি 

                                                      - তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

    গীতায় ভগবান  শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন - 'সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ'। অর্থাত সব ধর্ম ত্যাগ করে আমার ভজনা কর। যুদ্ধের আগে অর্জুনের মনে ভয় ছিল যে যুদ্ধ করলে আত্মীয় বধের পাপ স্পর্শ করবে।  তাই ভগবান তাকে বলেন - 'ধর্মাধর্ম নিয়ে তুমি ভাবছ কেন? কার কি ধর্ম সেসব নিরুপনের ভার আমার উপর ছেড়ে দাও,আমার শরণ নাও। আর তারপর নিশ্চিন্তে যুদ্ধ কর। কারণ যুদ্ধ ক্ষত্রিয়ের ধর্ম। এটাই হল যথার্থ রণাগতি। সকাল ধর্মাধর্ম ঠাকুরের পায়ে সঁপে দিয়ে শরণাগত হওয়া আর তারপর নিজের কাজ করে যাওয়া। তবেই তো ঠাকুর এসে ধরবেন জীবনরথের রাশ। 
   প্রশ্ন উঠতে পারে - এই শরনাগতির  বৈশিষ্ট কি? এবার সেই আলোচনায় আসা যাক। 
  শরনাগতির প্রথম বৈশিষ্ট হলো  মনে নিশ্চিন্তভাব আনা।  ভক্ত যখন তাঁর সমস্ত কিছুর সাথে নিজেকেও ঠাকুরের পায়ে সমর্পণ করেন তখন তাঁর মনে নিজের জাগতিক বা পারলৌকিক কল্যানের চিন্তাও আসে না। তিনি ভাবেন না - কি খাব, কোথায় থাকব,কিভাবে আমার দিন কাটবে? যতক্ষণ না নিজের আমিত্বের ভাব কাটছে ততক্ষণ এই অবস্থা আসেনা। তাই ভক্তের চেষ্টা করতে হয় - মন,বুদ্ধি,ইন্দ্রিয় বা দেহ এসবে যেন 'আমার'ভাব ঢুকতে না পারে। আর তাকে ভাবতে হবে - যে আমি আসল আমি নই সেই আমিকে নিয়ে কেন ভাবব? ঠাকুর নিজেই তো বলেছেন গীতায়  ' মা শুচঃ',
অর্থাত চিন্তা কোর না। তাই চিন্তা করা মানে শরনাগতির অপমান। ভক্তকে ভাবতে হবে - আমার সবকিছুই ঠাকুরের আর আমিও তাঁর। তাই আমার কোন চিন্তা থাকতে পারে না। যে ভক্ত শরণাগতি নিয়েও চিন্তা করে ঠাকুর তাঁর তল্পি বইতে আসেন না কিন্তু যে শরণাগত ভক্ত নিজের সবকিছু ঠাকুরকে সমর্পণ করে নিষ্কাম হয়ে কর্ম করেন ঠাকুর একমাত্র তাঁর পাশেই এসে দাঁড়ান পরমানন্দে। 
                                                                             (ক্রমশঃ)

     

Saturday 5 September 2015

জন্মাষ্টমীর উপহার

                     জন্মাষ্টমীর উপহার

                                  - তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

আজ জন্মাষ্টমী। আমাদের প্রিয়তম গোপালসোনার জন্মদিন। আজকের দিনে আমরা গোপালকে কি উপহার দিতে পারি বল তো? বাঁশী হল তার সবচেয়ে প্রিয়। কিন্তু কাঠের বাঁশী নয় - আমাদের নিজেদের বাঁশীতে পরিণত করে তাঁকে উত্সর্গ করতে হবে। ভেবে দেখ - বাঁশী থাকে একদম সোজা -তার ভিতরে কোন বাঁকা বাঁক থাকে না। অর্থাত আমাদের নিজের মনটিকে ঠিক এরকম সোজা সরল করে তুলতে হবে। বাঁশীর ভিতরটি থাকে ফাঁপা - অর্থাত তার ভিতরে থাকে না কোন কামনা। এইসাথে বাঁশীর থাকে আটটি ছিদ্র - আমাদেরও দেহে রয়েছে এমনি আটটি ছিদ্র -বাইরের দিকে পঞ্চ ইন্দ্রিয় এবং ভিতরের দিকে মন,বুদ্ধি ও অহংকার। এই সব কিছু গোপালকে নিবেদন করে শুধু শরণাগত হতে হবে - তবেই আমরা তার কৃপা অনুভব করতে পারব আমাদের সবকিছুর মাঝে।তখনি তিনি আমাদের মধ্যে সুর ভরে দেবেন আর সেই বাঁশুরিয়া তখন বাজাবেন আমাদের যথার্থ বাঁশী বানিয়ে। সেই যে আমাদের আসল লক্ষ্য -তাঁর কৃপা আস্বাদ। জয়  গোপালসোনা। 

Monday 31 August 2015

From The World Beyond Death


My only book translated into English till date .. U can now get this book via Sharanagoto.somproday

Monday 24 August 2015

ঈশ্বর লাভের পথ (২)

                                   ঈশ্বর লাভের পথ (২)                                                                                               -- তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়                                        ( পূর্ব প্রকাশিতের পর)

      এবার দেখা যাক কেন ভক্তিযোগ সর্বোত্তম। 
      জ্ঞানীরা সিদ্ধ হলে ঈশ্বরকে তত্বত জানেন এবং তাঁর ভিতরে প্রবিষ্ট হয়ে তাঁর মাঝে লীন হয়ে যান। কিন্তু তাঁদের ভগবান দর্শনের আকাঙ্খাও থাকেনা এবং তাঁরা সেই দর্শনও পান না। 
      যোগীরা সিদ্ধ হলে ঈশ্বরত্ব প্রাপ্ত হন এবং তাঁর সৃষ্টি স্থিতি লয়ের কর্মযজ্ঞে সামিল হন। এঁরাও সাধনের মাধ্যমে ঈশ্বরকোটি স্তর প্রাপ্ত হন। তখন ঈশ্বরদর্শনও তাঁরা যেমন লাভ করেন তেমনি তাঁর নির্দেশে জগতকল্যানের যজ্ঞেও  এঁরা ব্রতী হন। ক্রিয়ায়োগের পথিকৃত শ্যামাচরণ লাহিড়ি মহাশয় যেমন যোগসিদ্ধ হয়ে কৃষ্ণের দর্শন পেয়েছিলেন আবার তাঁর মাঝেই পেয়েছিলেন ১০ মহাবিদ্যার দর্শন। তবে তাঁরা ইষ্টের দর্শন আর তাঁর ঐশ্বর্য লাভ করলেও ভক্তি ছাড়া একটি বস্তুর আস্বাদ পান না -  তা হল লীলারস আস্বাদ। 
     আর ভক্তিমার্গের সাধকরা সিদ্ধ হলে ইশ্বরকে তত্বত যেমন জানতে পারেন তেমনি ভগবত দর্শন লাভ করেন আর তার চেয়েও বড় কথা তাঁরা লীলারস আস্বাদ করতে পারেন। 
      এই লীলারস আস্বাদ হয় ভগবতপ্রেমে। তাতে দুইরকম অবস্থার উল্লেখ মেলে। ভক্ত যখন ইষ্টের প্রেমে আপনার মাঝে ভাবের আবেশে ডুবে যান তখন ভক্তের অন্তরে প্রেমিক ভক্ত আর প্রেমাস্পদ ভগবান মিলেমিশে এক হয়ে যান। আবার যখন ভক্ত আপনার জাগতিক অবস্থায়  ফিরে আসেন তখন প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ এক হয়েও লীলার প্রয়োজনে ধারণ করেন ভিন্ন রূপ। 
    শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতের মধ্যলীলায় ' মহাপ্রভু - রায় রামানন্দ সংবাদ'-এ এই সাধ্য সাধন তত্বের ব্যাখ্যা আমরা পাই। সেখানে সাধ্য তত্ব নিয়ে আলোচনার শেষে রায় রামানন্দ বলছেন -
     'ইহার মধ্যে রাধার প্রেম সাধ্য শিরোমনি। 
      যাঁহার মহিমা সর্বশাস্ত্রেতে  ব্যাখ্যানি। '
   এই প্রসঙ্গে যখন রায় রামানন্দ অদ্বৈত তত্বের উপর একটি গীত গাইতে গেলেন তখন মহাপ্রভু তাঁর মুখ চেপে ধরেন। কারণ সেই যে আসল মহাভাব। দিব্য অমৃত। সেই মহাভাবের বিবরণ আমরা পাচ্ছি কবির ভাষায় -
   'পহিলহি রাগ নয়নভঙ্গ ভেল। 
   অনুদিন বাড়ল  অবধি না গেল 
   ন সো  রমণ, ন হম রমণী।
   দুঁহু মন মনোভব পেসল জানি '
অর্থাত শ্রীরাধা বলছেন - দর্শনের পূর্বেই শ্রীকৃষ্ণে তাঁর প্রীতি জন্মেছিল। দৃষ্টি বিনিময়ের পর থেকে সেই প্রীতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর ধীরে ধীরে এই অঙ্কুরিত পূর্বরাগ বেড়ে চলে সীমা থেকে অসীমের পথে। দেখতে দেখতে শ্রীকৃষ্ণের রমণ- স্বরূপ আর শ্রীরাধার রমণীস্বরূপের ভেদ মিলেমিশে এক হয়ে যায় । আর সেই প্রেম দুজনের মনকে পেষণ করে অভিন্নে পরিনত করে। এই হল ভক্তির শ্রেষ্ঠ স্তর। পরবর্তীকালে এই মহাভাব আমরা দেখি স্বয়ং মহাপ্রভুর মাঝে। 
                                                (ক্রমশঃ)
     

Friday 21 August 2015

ঈশ্বর লাভের পথ

                           ঈশ্বর লাভের পথ 

                                             -- তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

   সংসারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপিত হলেই মন অশান্ত হয় এবং মানুষ পরমার্থ থেকে দূরে চলে যেতে থাকে। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পথ দেখিয়েছেন পরম প্রাপ্তির। এই পরম প্রাপ্তির পথ তিনটি - কর্মযোগ,জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ। 
     এর মধ্যে কর্ময়োগের পথ বলছে - ফলের আশা ও কর্তৃত্বের অভিমান ত্যাগ করে সব কাজ ঠাকুরের কাজ মনে করে করতে থাক,এতেই সংসারে থেকেও সংসারচ্যুত হয়ে শান্তিতে ও আনন্দে থাকা যায়। 
    জ্ঞানযোগের পথ বলছে - আপন অন্তরাত্মার স্বরূপে স্থিত হলেই আসবে অখন্ড আনন্দ আর তাতেই লাভ হবে নির্বাণ। 
   ভক্তিযোগ বলছে - ভগবানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করলেই শুধু মহাভাব তথা অনন্ত আনন্দ লাভ হয়। 
   অর্থাত যে পথেই আমরা তাঁকে লাভ করতে চাইব,তাতেই শান্তি,তাতেই আনন্দ। তিনি যে আনন্দস্বরূপ,শান্তিস্বরুপ তথা আমাদেরও মূল স্বরূপ। তাই তিনটি পথই তাঁকে লাভ করার উত্তম সোপান। কিন্তু ভক্তিযোগ হল সর্বোত্তম।                                                                 ( চলবে)

Sunday 16 August 2015

ঠাকুরকে পাওয়ার পথ নিষ্কাম ভালবাসা

                  ঠাকুরকে পাওয়ার পথ নিষ্কাম ভালবাসা 

আজকাল মানুষ ঠাকুরকে খোঁজে কেন যেন?যাতে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ হয়। আর এই স্বার্থের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে সে উপলব্ধি করতে পারে না সেই পারমার্থিক ভালবাসা যা দিয়ে ইশ্বর ঘিরে রেখেছেন আমাদের সবাইকে। ঠিক যেমন সূর্যকে দেখা যায় তার নিজের আলোয় তেমনি ঈশ্বরের ভালোবাসাও পাওয়া যায় শুধু তাঁর ভালোবাসাকে উপলব্ধির মাধ্যমে আর সেই উপলব্ধি জাগে শুধু তাঁর প্রতি নিস্বার্থ ভালবাসার মাধ্যমে। সাধনা যতক্ষণ ব্যক্তিগত স্বার্থপূরণের জন্যে হয় ততক্ষণ সাধক হয়ত জাগতিক ঐসর্য পান কিন্তু তাঁকে পান না। একমাত্র যখন ঐশ্বর্যের মহ ভুলে নিষ্কাম ভালবাসায় সাধকের মন পূর্ণ হয় তখনি তিনি ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারেন সেই ভালবাসারই মাধ্যমে।

Wednesday 12 August 2015

মনকে বাসনামুক্ত করা প্রয়োজন

                          মনকে বাসনামুক্ত করা প্রয়োজন 

বাসনা যতক্ষণ আমাদের ভোগাবে ততক্ষণ আত্মজ্ঞান আসবে না। কিন্তু বাসনাকে নির্মূল করা সহজ নয়। তাই প্রথমে সব অশুদ্ধ বাসনাকে মন থেকে দূর করতে হবে এবং শুদ্ধ বাসনায় মনকে পূর্ণ করতে হবে যা উত্তরণের সহায়ক। তারপর ক্রমে ক্রমে সেই শুদ্ধ বাসনাকেও কাটিয়ে উঠতে হবে। অর্থাত প্রথমে অশুদ্ধ বাসনাকে নির্মূল করতে হবে শুদ্ধ বাসনা দিয়ে এবং তারপর সেই শুদ্ধ বাসনাকেও কাটিয়ে উঠে মনকে করতে হবে বাসনামুক্ত। একমাত্র তখনি মনে আসবে শান্তি। আর সেই শান্তি নিজের ভিতরে জেগে উঠলে মন আপনা থেকেই খুঁজে পাবে আত্মজ্ঞানের পথ। 

Thursday 6 August 2015

ভালবাসা করে কয় - ২

                                      ভালবাসা করে কয় - ২

মানুষ সাধারনতঃ শুধু নিজেকেই ভালবাসে। আর যাদের মধ্যে তার নিজের প্রতি ভালবাসার প্রতিফলন দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। অর্থাত সে নিজেকে যেভাবে দেখতে চায় যারা তাকে সেভাবে দেখছে তাদেরই সে ভালবাসে। অর্থাত কিনা,নিজের প্রতি ভালবাসার প্রতিফলন অন্যের চোখে দেখাই তার কাছে ভালবাসা। কিন্তু এখানেই প্রয়োজন একটু গভীরে যাওয়া। মানুষ যে নিজে বলতে শুধু  এই নামরূপ দেহটাকে বোঝে। সে যদি নিজে বলতে আত্মাকে বুঝত তাহলে এই আত্ম ভালবাসা তাকে দেখিয়ে দিত সিদ্ধির পথ। স্বয়ং পরমাত্মার অংশ যে বিরাজ করছে আমাদের সব রূপের মাঝে আর তাই তাঁর সকল রূপকে ভালোবাসলেই তাঁকেও ভালবাসা হয় আর নিজেকেও ভালবাসা হয়। কারণ নামরূপ দেহ অসংখ্য হলেও আত্মা তো সেই তাঁর সাথেই যুক্ত। সকল রথের রশি যে শুধু একই রথির হাতে। 

Tuesday 4 August 2015

ঠাকুর কেন সাড়া দেন না

                 ঠাকুর কেন সাড়া দেন না 

আমরা প্রায়ই অনুযোগ করি - এত প্রার্থনা করলাম,তাও নিষ্ঠুর ঠাকুর সাড়া দিলেন না। কিন্তু আমরা বুঝতে চাইনা যে এই সাড়া না দেয়াটা আমাদেরই দোষের ফল। আসল কথা হল - প্রতিটি মানুষই হল লোহার মত আর ঈশ্বর চুম্বকের মত। যার মধ্যেই অধ্যাত্মজ্ঞান জেগেছে তাকেই ঈশ্বর টেনে নেন কাছে।তোমরা বলতে পারো - চুম্বক তো সব লোহাকেই টানে। আমি বলব - ঠিক কথা। চুম্বক সব লোহাকেই টানে কিন্তু তারও একটা শর্ত আছে।  লোহায় যদি জং পরে যায় তাহলে চুম্বক টানতে পারে না। এই জং পরে ধুলো আর ময়লা জমে। একইভাবে আমাদের মনে যদি অসত ভাবনার ময়লা আর ধুলো জমে তাহলে ঈশ্বর আমাদের টানতে পারেন না। তিনি তখন অপেক্ষা করেন কবে আমাদের মন থেকে ময়লা এবং ধুলো পরিষ্কার করে আমরা নিজেদের আধারকে যোগ্য করে তুলব তাঁর কাছে আসার জন্যে। যতদিন না আমরা নির্মল হতে পারছি দেহে মনে ততদিন পর্যন্ত তাঁর যে শক্তি আমাদের মধ্যে অন্তর্নিহিত আছে তার সন্ধান আমরা কিছুতেই পাব না। 

Monday 3 August 2015

ভালবাসা কারে কয়?

                                     ভালবাসা কারে কয়?

      আমাদের প্রতিটি মানুষের মূল স্বরূপ হল ভালবাসা। এই পৃথিবীতে প্রতিটি নাম ও রূপের মাঝেই আছে ভালবাসা। কারণ ঈশ্বর স্বয়ং আমাদের মাঝে বিরাজ করেন ভালবাসা রূপে। এই ভালবাসা হল চিরন্তন,সর্বব্যাপী এবং অদ্বৈত। 
     কিন্তু আমরা সেই ভালবাসার পরশ পাই না। তার কারণ - ভালবাসা বিলোবার ব্যাপারে আমরা স্বার্থপর। আমরা দেখি - বিশেষ কিছু মানুষের  কাছে কি পাওয়া যাবে এবং সেই অনুসারে তাকে ভালবাসি। অর্থাত আমরা খন্ড রূপকে ভালবাসি স্বার্থের লোভে। যতক্ষণ আমাদের ভালবাসা হবে এরম খন্ড রুপভিত্তিক এবং স্বার্থকেন্দ্রিক ততক্ষণ আমরা পাব না সত্যিকারের ভালবাসার পরশ। 
      তাহলে কিভাবে আমরা পেতে পারি সত্যিকারের ভালবাসার পরশ? কোন বিশেষ নশ্বর দেহকে ভালবাসার পাত্র কোর না। দেহকে নয় আত্মাকে ভালোবাসো। যে পরমাত্মার অংশ তোমার মাঝে আছে তারই অংশ আছে অন্যদের মাঝেও। তাইত ঈশ্বরের সুত্রে আমরা সবাই এক। যখনই সেই ঐক্যকে আমরা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারব তখনি ভালবাসতে পারব সবাইকে একভাবে আর একমাত্র তখনি পাব স্বর্গীয় ভালবাসার পরশ - ইশ্বর যে ভালবাসায় আমাদের ভরাতে চান সেই ভালবাসা - যা ভালোর বাসা সেই অপার্থিব ধন আমরা পাব। 
    ভেবে দেখো - ঈশ্বরকে বলা হয় ভালবাসার মূর্ত রূপ। কেন?কারণ তিনি কোনো স্বার্থ দেখে কাউকে ভালবাসেন না , সবাইকে সমান ভালবাসেন - যার যেমন কর্ম তাকে তেমন ফল দেন। আমাদের উচিত ভালবাসার ব্যাপারে তাঁকে অনুসরণ করা। তার মতই সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসা। একমাত্র তাহলেই যে আমাদের মিলবে স্বর্গীয় ভালবাসার পরশ। 

Saturday 1 August 2015

অনন্তের জিজ্ঞাসা ( অষ্টানগিক যোগ ও ক্রিয়া যোগ পর্ব) -১

অনন্তের জিজ্ঞাসা ( অষ্টানগিক যোগ ও ক্রিয়া যোগ পর্ব) -১

( বিগত ২০১০ সালের জুলাই মাসের অধিবেসন থেকে সংগৃহিত)

শাশ্বতী দাস - যোগ কাকে বলে? 
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় -পতঞ্জলি বলেছেন - চিত্তবৃত্তি নিরোধের নামই যোগ। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্যটাও বলি। আমরা জানি যে জীবাত্মার লক্ষ্য হল - নিজ আত্মায় আত্মস্থ হয়ে  আত্মস্বরূপ তথা ব্রহ্মস্বরুপ লাভ। আমাদের দেহের সহস্রার চক্রে বিরাজ করছেন সদাশিব এবং আমাদের দেহের মূলাধার চক্রে বিরাজ করছেন কুলকুন্ডলিনি। কিন্তু জন্মলাভের পর আমরা মায়ায় মোহিত হয়ে যাই। ফলে মায়ার প্রভাবে ষড়রিপু আমাদের আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে আর সেজন্যেই আমাদের ভিতরকার আসল এই শক্তি সুপ্তভাবে থেকে যায় ভিতরে। তাই আমাদের মনের উপর যেসব রিপু  প্রভাব বিস্তার করে সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে মনকে অন্তর্মুখী করতে হয় আর এই অন্তর্মুখী মনই হয় সাধনার অনুকুল। এই বহির্মুখী মনকে নিয়ন্ত্রণ করে অন্তর্মুখী করে আপন কুলকুন্ডলিনি শক্তিকে জাগিয়ে তাকে মূলাধার থেকে সহস্রারে নিয়ে গিয়ে সদাশিবের সাথে মিলিয়ে দেয়ার সাধনা হল যোগ। এই যোগের মাধ্যমেই আমরা জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ ঘটাতে পারি আপন দেহভান্ডে। 
   (ক্রমশঃ )

Thursday 30 July 2015

গুরুপুর্নিমা

      আজ গুরুপুর্নিমা। আমাদের গুরুকে সম্মান জানানোর জন্যে নির্দিষ্ট দিন। গুরু কে ?গুরু কে ভাগ করলে পাওয়া যাবে গু এবং রু। এর মধ্যে গু শব্দের অর্থ অজ্ঞানের অন্ধকার যার মধ্যে ডুবে আছে জীবজগত আর রু শব্দের অর্থ আলো। অর্থাত যিনি আমাদের ভিতরকার অজ্ঞানের অন্ধকার দূর করে আলোর পথে নিয়ে যান তিনিই গুরু। যিনি আমাদের হাত ধরে জীবন  মহাজীবনের পথে নিয়ে যান তিনিই গুরু। এই পূর্নিমায় তাকেই আমরা জানাই আমাদের শ্রদ্ধা।
     এই পূর্নিমার এহেন নামকরণের কারণ -এটি ব্যাসদেবের আবির্ভাব তিথি। ব্যাসদেব যে ভাগবত, গীতা সহ  বহু মহাগ্রন্থের মাধ্যমে আমাদের হিন্দু ধর্মকে দেখিয়েছেন দিশা আর তাই তাঁকেই আমরা মানি প্রথম ধর্মগুরু রূপে।  এটি  তাঁর আবির্ভাব তিথি। তাই এই তিথিতে আমরা সেই আদি গুরুকে শ্রদ্ধা জানাই। আর তাঁর মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাই  আমাদের জীবনে যিনি মুক্তির কান্ডারী হয়ে এসেছেন সেই গুরুকে।
      আজ গুরুপুর্নিমা উপলক্ষ্যে আমি প্রনাম জানাই আমার শক্তিমন্ত্রের  মন্ত্রগুরু তথা ক্রিয়াগুরু বাবাকে,কৃষ্ণ মন্ত্রের গুরু মাকে,অধ্যাত্ম পথে যেসব মহাত্মাদের কৃপায় সিঞ্চিত হয়েছি আমি সেই মহাত্মাদের এবং যেসব অধ্যাত্ম গ্রন্থের মাধ্যমে নিজেকে পরিশীলিত করতে পেরেছি সেই অধ্যাত্ম বই এর লেখকদের। এদের সবার থেকেই আমি শিখেছি মহাজীবনের পথ চলার সূত্র। তাই এঁরা সবাই আমার গুরু। এদের সবাইকেই আমার প্রণিপাত।
      সেইসাথে দেশ বিদেশে আমার যারা শিষ্য শিষ্য আছ, তোমাদের সবাই আমার নিও আমার প্রাণভরা ভালবাসা,স্নেহ,শুভেচ্ছা ,প্রীতি ও আশির্বাদ।  ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি - তিনি তোমাদের সবার সার্বিক মঙ্গল করুন। সার্থক হোক তোমাদের পথ চলা মহাজীবনের লক্ষ্যে। 

Monday 20 July 2015

চিরন্তন সৌন্দর্য



আমরা সাধারণত সুন্দর মুখ,সুন্দর দেহ গড়ে তুলতে চাই । যাতে সেই বহিরঙ্গের সুন্দরকেই অন্যেরা ভালোবেসে ফেলে । কিন্তু সেই সুন্দর তো ক্ষণস্থায়ী। ঠিক ফুলের সৌন্দর্যের মত। আজ আছে কাল থাকবে না। তার পরিবর্তে আমাদের চেষ্টা করা উচিত নিজেকে গড়ে তোলার - যাতে আমাদের আত্মিক সৌন্দর্যকে আমরা প্রকাশ করতে পারি - আমাদের ভিতরে যদি সততা,নিঃস্বার্থ ভালবাসা,প্রেম,মৈত্রী,স্নেহ জাগ্রত হয় এবং আমাদের ভিতরের ক্রোধ,ঈর্ষা,হিংসা,প্রতিহিংসা,লোভ,লালসা যদি আমরা ধংস করতে পারি তবেই তো আমরা সত্যিকারের সুন্দর হতে পারব। সেই সৌন্দর্য চিরকাল রেখাপাত করবে সবার মনে। ছুয়ে যাবে সবার মন। দেহে সুন্দর হওয়ার পরিবর্তে মনে সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। সেই সৌন্দর্যই চিরন্তন - দেহের সৌন্দর্য ক্ষনিকের মরিচিকা মাত্র।   

Sunday 12 July 2015

"রূপং দেহী,জয়ং দেহী,যশঃ দেহী , দ্বিষঃ দেহী "

সামনে আসছে মা দুর্গার পূজা। হবে দেবীবরণ। আমরা মাকে বলব -"রূপং দেহী,জয়ং  দেহী,যশঃ দেহী , দ্বিষঃ দেহী "- সবাই ভাবেন এর অর্থ -মায়ের কাছে আমরা চাইছি - মা,রূপ দাও, জয় দাও,যশ দাও, আমাকে শত্রু সংহারে সমর্থ কর। আমরা জাগতিক জগতের মানুষ। তাই জাগতিক অর্থই ভাবি।
          কিন্তু এই শ্লোকের আলাদা আধ্যাত্মিক তাত্পর্য আছে। এখানে 'রূপং দেহী' বলতে বোঝানো হচ্ছে  - ' মা,আমাকে পরমাত্মবস্তু দাও। '  
শাস্ত্র বলছে রূপ সম্বন্ধে -"রূপং রূপাতে জ্ঞায়তে ইতি রূপং পরমাত্মবস্তু"। 
       'জয়ং  দেহী' বলতে বোঝানো হচ্ছে - 'মা,আমাকে পরমাত্মের স্বরুপতত্ব অবগত করাও।' 
শাস্ত্র বলছে জয় সম্বন্ধে -" জয়ং জয়্তানেন পরমাত্মনো স্বরূপমিতি জয়ঃ।"
     'যশঃ দেহী' বলতে বোঝানো হচ্ছে -'মা,আমার তত্বজ্ঞান সম্পাদন কর।' 
শাস্ত্র বলছে যশ সম্বন্ধে -"সহ নৌ যশঃ ইতি শ্রুতিপ্রসিদ্ধঙ  তত্বজ্ঞানসম্পাদনজন্যং জসস্তদ্দেহী।"

   ' দ্বিষঃ দেহী' বলতে বোঝানো হচ্ছে - 'মা, আমার কম,ক্রোধ ইত্যাদি শত্রুর সংহার কর। '
 শাস্ত্র বলছে  দ্বিষ সম্বন্ধে - "দ্বিষঃ জহী কম ক্রোধাদিন সত্রুন জহী নাশয়ঃ। "
    এই শ্লোকের এই আধ্যাত্মিক অর্থ জেনে মন্ত্র পথ করলে তবেই এই আধ্যাত্মিক ফল লাভ হয় - এমনটাই শাস্ত্র বলে থাকে। তাই আসন্ন পূজায় এই অর্থ মনে রেখেই যেন আমরা মায়ের স্তোত্র পাঠ করি। 

Friday 10 July 2015

ইস্ট সাক্ষাতকার

অনেক ভক্তই  আমাকে বলে - কবে তার ইস্ট দর্শন হবে ? কিন্তু এই ইস্ট দর্শন তো নতুন কিছু নয় যা সাধনার মাধ্যমে আয়ত্ত্ব হবে। তাই আমি বলি - ইস্ট তো তোমার মাঝেই আছেন। তার সাক্ষাত করা নতুন কিছু নয়। শুধু তুমি তাকে দেখতে পাচ্ছ  না নিজের অহংকার বা egoর জন্যে। এই ego হল একটি মায়ার পর্দা যা জীবকে দুরে রাখে ইষ্টের থেকে। সাধনার মাধ্যমে সেই egoর পর্দা  সরানোই  শুধু আমাদের কাজ । প্রতি জন্মে যা আসে আর যায় তা হল এই আমি-র আবরণ। সাধনার মাধ্যমে এটিকে সরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ইস্ট সাক্ষাতকার। ঘটবে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন। 

Thursday 2 July 2015

ভক্ত হতে গেলে





অহংকার বা ইগো হল ভক্তিলাভের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। কারণ অহংকার যোগায় আমার আমার ভাব। আমার আমার ভাব থেকে আসে কামনা - সবকিছুই তখন আমার নিজের রূপে পেতে চাই। সেই কামনায় বাধা পড়লে আসে ক্রোধ। ক্রোধ আনে প্রতিহিংসা। আর এসব মিলিয়েই  মানুষ জড়িয়ে যায় মায়ার জালে। তাই ভক্ত হতে গেলে আগে নিজের আমিত্ব নাশ কর। মনকে বোঝাও ঈশ্বরের মহান কর্মযজ্ঞে আমি একটি বোরে মাত্র - যার নিজস্ব বলতে কিছুই নেই ,উপরওলা যেমন চালাবেন আমাকে তেমনিই চলতে হবে। সেই ভাব মনে রেখে সব ঈশ্বরের কাজ ভেবে কর। দেখবে তোমায় আর কোনো কাজ করতে হবেনা - তোমার কাজ হয়ে দাঁড়াবে তোমার সেবা। 

Friday 26 June 2015

ভক্তি ও জ্ঞান

ভক্তি ও জ্ঞান 


ভক্তি ও জ্ঞানের মধ্যে প্রভেদ নিয়ে ভক্তরা অনেকেই তর্ক করেন। কিন্তু ভক্তি আর জ্ঞান দুইই ইশ্বরলাভের পথ। ঠিক যেমন সগুন আর নির্গুনের ভেদ। যিনি সগুন তিনিই তো আপন খেয়ালে নির্গুণ। তেমনই যেমন ভক্তির পথ তেমনি জ্ঞানের পথ। যিনি ভক্তিকে অবলম্বন করে এগন তার মধ্যে আপনা থেকেই জাগ্রত হয় জ্ঞান। আর যিনি জ্ঞানকে অবলম্বন করে এগন তিনিও শেষে উপলব্ধি করেন যে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান হল ভক্তি। তাই জ্ঞান আর ভক্তি দুইই ঈশ্বর লাভের বিশেষ ধাপ। আর দুইর মধ্যেই দুইকে খুঁজে পাওয়া যায়। 

Wednesday 27 May 2015

Iswar ekmebadwitiyom

Iswarer shoto shoto nam..Baishnabra ekname dake,shaktora ek name,Sourora ek namey,Ganopotyora ek namey..nam sob manusher deya..jar jemon ichhya temoni Iswarer rup vebe niechen..jar kono ichha nei tini vebechen arup..kintu rup,arup,aporup sober majhe sotyo ektai..Iswar ekmebadwitiyom..tar je nam khushi tomar setikei bechche nao,je rup khushi takei bechche nao,ar tarpor?sokale jakhon provati Suryer dakey vangbe tomar ghum,sei namti smoron koro,tar sei ruptike dhyan koro..jotokhhon jege thakbe sei nam ar rupkei tomar pita,mata,bandhu,shokha rupe rekho ar tarpor dinante shute jawar somoye sei rup ar namtikei smoron kore janio kritogyota saradin tomar pashe thakar jonye,.karon saradin tomar samne pichone daine baye jarai tomay sahajyer haat barie dieche sobar rupei chilen tini..jara asohojogita koreche tader rupeo tinii theke tomar prarobdhovog katiyechen..joto anondo tumi peyecho anyoder madhyome sob sei ruper modhye bosey tinii diyechen ar joto dukhho-koshto tumi peyecho tao sei ruper modhye bosey tinii diyechen tomake agnishudhho kore tolar jonye..prithibite joro chaitanya,prani sob vinno vinno adhar kintu vitore achen shudhu tinii..taito ei jogoter ekmatro sotyo tinii ar e jogote take baad diye kichui nei..

Tuesday 21 April 2015

Gift for Gujarati devotees of Sri Krishna

My Akshaytritiya gift to all my readers - the free download pdf version of the Gujarati edition of my book Brindabane ajo ghotey aghaton cum Brindaban Mein Aaj Bhi Ghatnewale Chamatkar ..now comes the Gujarati edition of the book for all of you.(This book has been turned to pdf by my Gurubhai Subhajitda)..Hope u all will like this book..
http://www.mediafire.com/download/43zc280l2qojoxt/Brindaban+mein+aajopon+aloukik+ghotona+ghoteche..Gujrati+edition+of+Tarashis+Gangopadhyay+classic.pdf

Sunday 19 April 2015

Amar boi jara bishwer jekono pranto theke by poste nite chan tara ei email idte jogajog korte paren sharanagoto.somproday@gmail.com ..ekhan thekei tara boi peye jaben

Friday 27 March 2015

Prokashito holo amar samprotiktomo grontho - "Aajo Setha Nitya Leela Koren Gora Ray" .. Nabadwip-Shantipur-Kalna porbo








Aaj 27th March prokashito holo amar samprotiktomo grontho Aajo Setha Nitya Leela Koren Gora Ray boitir Nabadwip-Shantipur-Kalna porbo..ete ei prothom bhromon kahinir angike tule dhora hoyeche Nabadwip Shantipur Kalna Gopaldaspur Baghnapara Babla Guptipara provriti mahateerther biboron,sekhankar bivinno mandirer pouranik mahatmyo o oitihasik totwo o tothyo aar ete ache sekhankar Mahasadhokder leela kotha totha SriRadha Krishner yugal tonu Premabotar Mahapravur leelar kotha ebong tar dekhano premyoger poth..ek kothay Nabadwip Shantipur Kalna ebong sorbopori Mahapravur leela aswad ek gronthe ei prothom..aaj ei boitir udbodhon holo amar pranpriyo Gopalsonar sathe..

Wednesday 18 March 2015

Sworup totwo - ek



                                                                       Ek

     Prothomei bola jak sworup totwo prosonge..Sobai torko koren - Iswar sakar na nirakar?torkoi chole..jante gele ja korte hobe ta ar keu korte chay na..Nirakarbadira bolen je Iswarke chokhe dekha jayna,tai take sakar bola vul..tahole sakar manei ki sudhu pancho indriyo dhorte parbe emon?kintu pranijogoteo to emon anek kichui ache jar astitwo aaj promanito..tabe tader ki dhorbo?sakar na nirakar?
    tachara ekhane royeche amar prosno - amar thakurdadar babakeo to ami chokhe dkhini,bostuto ei somporker manushke khub kom lok-i dekheche,tabe ki tar astitwo chhilo na?
     Asol kotha holo,tini jemon sakar rupe dhora dyan,temni nirakar hoyeo tiniii upolobdho..deshvede kalvede anekvabei bola jay..tini sanyasir chokhe ekrokom,grihir chokhe ekrokom,yogir chokhe ekrokom,bhokter chokhe ekrokom..kintu asole to tiniiii..sobai jachhen sagar songome..se tini pub theke asun,uttor theke asun,dakshin theke asun ba paschim theke asun..asol to tiniii..tai na?ektu vebe dekho..

Sunday 8 March 2015

Jeebon boye jay

Ei jeebonta jeno ekta somudrer moto..nityanatun koto dheu asche,jachhe..dheuer motoi koto manusher sanidhdhe elam..kotojon ese roye gelo sathe,kotojon harieo gelo..kintu somudrer buke dheuer othapora aajo abyahoto..ekhon ar purono dheu chole jawar jonye shok hoyna,natun dheu asar jonye anondou hoyna..ja ache tai niei anonde thakatai je jeebon..ekhane karo abahono nei,nei karo bisorjon..ja ache sob niye sudhui eksathe boye chola..antoto jotodin ta bidhinirdishto..