Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Thursday 31 October 2013

"ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন" গ্রন্থের 'নাসিক -শিরডি-দ্বারকা-প্রভাস' পর্বের দ্বিতীয় সংস্করণ

আজকে প্রকাশিত হল আমার "ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন" গ্রন্থের 'নাসিক -শিরডি-দ্বারকা-প্রভাস' পর্বের দ্বিতীয় সংস্করণ। শিব্রাম চক্রবতী বলতেন - লেখকের কাছে গ্রন্থ হল পুত্রসম আর গ্রন্থের সংস্করণ যেন নাতি। যখন আমার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় তখন ভাবিওনি একদিন এরকম আসবে যখন প্রায় প্রতি মাসেই একটা বা দুটো বই-এর সস্করণ প্রকাশিত হবে। আজকে সেই দিন এসেছে যখন একটি বই-এর সংস্করণ হওয়ার সাথে সাথে পরের বইটিকে পাঠিয়ে দিতে হয় প্রেসে। এসবি গোপালের কৃপা,তারামায়ের কৃপা। তাঁরাই আমায় দিয়ে লিখিয়েছেন,তাঁরাই ছড়িয়ে দিচ্ছেন সব ভক্তদের মাঝে। ভক্তদের তথা পাঠক পাঠিকাদের ভালবাসা তো তাঁদেরই কৃপা। আমি তো অতি অকীন্চন। তাই ঠাকুরকে দেয়ার মত আমার কিছুই নেই। আমার সবই যে তাঁর। এমনকি আমিও তাঁর। তাই আজকের দিনে তারামা ও গোপালকে জানাই আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা ,সেইসাথে সকল পাঠক পাঠিকাদের জানাই ধন্যবাদ। ১৯৯৬ থেকে বর্তমান ২০১৩ পর্যন্ত আমার লেখার প্রতি আপনাদের যে অফুরন্ত ভালবাসা ও স্নেহ পেয়েছি সবই ইশ্বরের করুণা।
ভালো থাকবেন ..
শুভেচ্ছাসহ
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়

Tuesday 29 October 2013

আক্কেল তবে রাস্কেল নয়

           আক্কেল তবে রাস্কেল নয় 

 মানুষের আজকাল আক্কেল নিয়ে ভারী সমস্যা। আক্কেল থাকলে লোকে বলে বুর্জোয়া। আর না থাকলে বোকা। আমাকে এতদিন দ্বিতীয় দলেই ফেলা হত। জাগতিক আক্কেল কোনকালেই নেই আমার। ইহকালে তো নেইই ,পরকালেও আশা নেই। কিন্তু এহেন আমারি উঠলো আক্কেল দাঁত। ৩-৪ বছর সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে অবশেষে তুললাম গতকাল। ডাক্তার আমাকে দাঁত তুলে দেখালেন - এটাই ছিল সেই আক্কেল দাঁত - লাগলো অনেকটা জাহাজের মত,উপরে তিনটে মাস্তুল আর শিকড় ছিল কত গভীর বলা মুশকিল। 
  তবে দাঁতটি দেখে কেমন বিরক্তি লাগলো। এই একটা দাঁতের জন্যে এত কষ্ট পেয়েছি এতদিন? দেখেই মনে হলো - এই দাঁত তো আমার দেহের অঙ্গ ছিল,সেটা যখন দেহ থেকে বেরিয়ে গেল কোন খারাপ তো লাগলো না। ব্যবহারের অযোগ্য ছিল বলেই ওটাকে বের করে দেয়া হলো। তাহলে মৃত্যু নিয়ে আমরা এত ভাবি কেন?যখন শরীর অকেজো হয়ে যাবে শরীরটাকেও তো এমনি ফেলে দিতে হবে। তখন শরীর থেকে বেরিয়ে ওটাকে দেখে আমরাও,অর্থাত আমাদের আত্মাও এরকমই বিরক্ত হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। দেহ যতক্ষণ আছে কাজ করে যাও,দেহ অকেজো হলে বা তার কোনো অঙ্গ অকেজো হলে সেটা বাদ দিয়ে দাও। যতদিন এভাবে বাদ দিতে দিতে চলে চালাও,তারপর বেরিয়ে পড় আপন শরীরে অনন্তের পথে। 
  

Friday 25 October 2013

সুখবর

একটি সুখবর জানাই সকল পাঠক পাঠিকা বন্ধুদের - গতকাল " কেদারনাথে আজ ঘটে অঘটন "লেখা শেষ হল। এবার সেটি যাবে ডিটিপি-তে। অনেক ভক্ত জিজ্ঞেস করেছিলেন কেদারনাথের প্রলয়ের কারণ। হয়ত তাদের উত্তর দেয়ার জন্যেই মে মাসে আমার আলাপ হয় প্রভার সাথে। ল্যানকাশায়ারের এই মেয়েটি আমার "দেবলোকের অমৃতসন্ধানে" পরেই নেমেছিল পথে।বদ্রীনাথে পিতামাতার পিন্ড দেয়াই  ছিল ওর উদ্যেশ্য। কিন্তু চলার পথে ও জড়িয়ে গেল এক অপার্থিব অভিজ্ঞতার সাথে। এর মাঝেও গুগল hangout থেকে ওর সাথে কথা হয়েছে হরিদ্বার ও রুদ্রপ্রয়াগে।তার অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মাঝে অনেকেই পাবেন তাঁদের উত্তর।নিয়তি যে মানুষকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অর অভিজ্ঞতা তার প্রমান।  
ভালো থাকবেন  ..   শুভেচ্ছাসহ তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

​​

Monday 14 October 2013

শুভ বিজয়া - ​আমার Friends ৯১.৯ F.M-এর অনুষ্ঠানে তৃষা বোস মহাশয়ার আমার আধ্যাত্মিক আলোচনার download link

  শুভ বিজয়া - ​Friends ৯১.৯ F.M-এ তৃষা বোস মহাশয়ার অনুষ্ঠান "ভাবসাগরের পাড়ে বসে "-তে আমার সাক্ষাত্কার আধ্যাত্মিক আলোচনার download link 

বন্ধুগণ,আপনারা যারা আমার লেখা বই বা ব্লগ ভালবাসেন ও পড়েন তাদের সবাইকে জানাই  শুভ বিজয়া। এই পুণ্যলগ্নে আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি কিছু উপহার আমার পক্ষ থেকে। 
  এবার পূজায় ৯১.৯ friends F.M -এ  তৃষা বোস মহাশয়ার অনুষ্ঠান "ভাবসাগরের পাড়ে বসে "-তে আমার সাক্ষাত্কার নেয়া হয়েছিল এবারের দুর্গাপূজার সপ্তমী ও অষ্টমীতে। সেইসাথে ষষ্ঠীতে ও দশমীতে নেয়া হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী  শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও কাবেরী বোসের সাক্ষাত্কার। 
  সেই সাক্ষাত্কারর্গুলি এখানে তুলে দিলাম আমার পাঠক পাঠিকা বন্ধুদের জন্যে। প্রথমে দেয়া হল ২০১৩ দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে ও মহাষ্টমীতে ​
তৃষা বোস মহাশয়ার নেয়া আমার সাক্ষাত্কারটির পুরো রেকর্ডিং। এই রেকর্ডিং করেছেন আমাদের আশ্রমের বিশিষ্ট ভক্ত শ্রী শুভজিত মুখার্জী। 

​১) মহাসপ্তমীর অনুষ্ঠানটির free download link - ​এতে রয়েছে আমার exclusive সাক্ষাত্কার দুর্গাপূজা ও নানা বিষয়ে আমার নানা মত  সম্বন্ধে - অনুষ্ঠানটি ডাউনলোড করার জন্যে নীচের ছবিটিতে click করুন - 

​২) মহাষ্টমীর অনুষ্ঠানটির free download link - এতে রয়েছে আমার exclusive সাক্ষাত্কার দুর্গাপূজা ও নানা বিষয়ে আমার নানা মত  সম্বন্ধে - 
অনুষ্ঠানটি ডাউনলোড করার জন্যে নীচের ছবিটিতে click করুন

৩) দশমীর অনুষ্ঠানটির free download link - ​এতে আছে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও কাবেরী বোসের সাক্ষাত্কার পুরনো কলকাতার পূজা সম্বন্ধে  এবং সেইসাথে আমার অল্প একটু  বিশ্লেষণ theme পূজা নিয়ে। 
অনুষ্ঠানটি ডাউনলোড করার জন্যে নীচের ছবিটিতে click করুন - 

৪) ষষ্ঠীর অনুষ্ঠানটির free download link - এতে আছে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও কাবেরী বোসের সাক্ষাত্কার  পুরনো কলকাতার পূজা সম্বন্ধে।  অনুষ্ঠানটি ডাউনলোড করার জন্যে নীচের ছবিটিতে click করুন - 

পরিশেষে সবাইকে জানাই আমার শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা । আসলে আমার যেসব প্রিয় পাঠক পাঠিকারা অনুষ্ঠানটি শুনতে পাননি মূলত তাদের অনুরোধেই এই ডাউনলোড গুলো এখানে দিয়ে দেয়া হলো যাতে সবাই শুনে এর আস্বাদ করতে পারেন। 


​                                   ​
ভালো থাকবেন  .. 
​       
  
​                                  ​
শুভেচ্ছাসহ 

​                                 ​
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় 

Tuesday 8 October 2013

একটি ঘোষণা ​

                 একটি ঘোষণা ​

বন্ধুগণ, বাংলা রেডিও-র ৯১.৫ এফ.এম.চ্যানেলে  আগামী ১১ অক্টোবর সপ্তমীতে,১২ অক্টোবর অষ্টমীতে এবং ১৪ অক্টোবর দশমীতে ভোরবেলায় ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিশিষ্ট ভক্ত সঙ্গীতশিল্পী ​তৃষা বোস গুপ্ত মহাশয়ার  বিখ্যাত অনুষ্ঠান "ভাবসাগরের তীরে"-তে পূজার আলাপচারিতায় বিখ্যাত শিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ও কাবেরী গুহর সাথে থাকছি আমি -আপনাদের প্রিয় তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। আলোচনা হবে পূজার বিষয়ে -আমার আধ্যাত্মিক পথে আসা,তন্ত্র,কুলকুন্দলিনী,দুর্গাপূজার থেমে প্রভৃতি অনেক বিষয়ে। কথা হবে সবার 
 সাথে পূজার বিভিন্ন দিক নিয়ে।সাথে থাকছে অনবদ্য ভক্তিসঙ্গীতের 
 ডালি। দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সবাইকে জানায় আমার শারদীয়া শুভেচ্ছা।

Friday 4 October 2013

মহাভারত রূপকের আলোয়

                                 মহাভারত রূপকের আলোয় 


   মহাভারত মহাগ্রন্থ আমাদের কাছে দ্বাপর যুগের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু মহাভারত লেখা হয়েছে একইসাথে সাধকদের জন্যে এবং সমাজের জন্যে।আমরা মহাভারতকে যদি বিশ্লেষণ করি তবে জানতে পারব - এর ভিতর দিয়ে কিভাবে সাধনার সংকেত দেয়া রয়েছে। এখানে দ্রৌপদী বা কৃষ্ণা হলেন দেহের রূপক।পঞ্চপান্ডব হলেন পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রতীক।দেহের সাথে পাঁচ ইন্দ্রিয়র বিবাহ দিয়ে শুরু জীবনের যাত্রাপথ।যখনই জীবাত্মা জীবশরীর ধারণ করে তখনই পঞ্চ ইন্দ্রিয় জেগে ওঠে তার মধ্যে।দ্রৌপদীর সাথে পাঁচ পান্ডবের বিয়ে সেই তত্বটি তুলে ধরেছে।এবার আসা যাক পান্ডবদের জন্ম প্রসঙ্গে। কোন পান্ডব কিন্তু সাধারনভাবে জন্মায়নি। তারা কুন্তি বা পৃথার পুত্র। এই পৃথা হলো পৃথিবীর প্রতীক। এবং প্রত্যেকেরই জন্মদাতা কোন না কোনো দেবতা।তার মানেটা কি দাঁড়ায় ? পাঁচ ইন্দ্রিয় তথা পঞ্চপ্রাণ জন্ম নেয় পৃথিবী ও দেবতার মিলনের ফলে। অর্থাত মাটি থেকে পাওয়া দেহ এবং তার ভিতরে পরমাত্মা থেকে জন্ম নেয়া জীবাত্মা যখন একত্র হয় তখনই পঞ্চপ্রাণ তথা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের জন্ম।   
    এরপর আসি কৌরবদের কথায়। পান্ডবদের সাথে কৌরবদের সবসময়ে বিরোধ।এই কৌরবদের সংখ্যা ১০০ ।  ১০০ কৌরব হচ্ছে মনের প্রবণতা যা শতধা বিভক্ত।মহাভারতে আছে - যুধিষ্ঠির ছিলেন পাশা খেলায় দক্ষ। তিনি ভাবতেন - তিনি পাশা খেলে কৌরবদের পরাস্ত করতে পারবেন। ঠিক যেমনভাবে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি  মনের নানারকম প্রবণতার সাথে জুয়া খেলে জিততে চায়। কিন্তু সেই জুয়া তাকে পতনের দিকেই নিয়ে যায়। ঠিক যেমন পান্ডবরা এই জুয়ার ফলেই জীবনের সবকিছু সুখ হারিয়ে বাধ্য হয়েছে বনবাসে যেতে। 
   
    এবার আসা যাক ধৃতরাষ্ট্রের প্রসঙ্গে।ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ তার সন্তানদের স্নেহে। ধৃতরাষ্ট্র হল আমাদের মনের প্রতীক। মনের সন্তান হল সকল প্রবণতা। অর্থাত আমাদের মন সবসময়ে নিজ প্রবণতার প্রতি অপত্যস্নেহে ডুবে থাকে। গান্ধারী হল অন্ধভাবে মনকে অনুসরণ করার প্রতীক। আমরা অনেকসময়েই জানি - কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা তবু আমরা চোখ বন্ধ করে রাখি এবং অন্যায়কে মেনে নেই। আমাদের সেই ভাবের প্রতীক হল গান্ধারী। আর মন যখন নিজের প্রবনতার প্রতি অন্ধ থাকে এবং নিজের বোধ বুদ্ধি থাকলেও নিজের দৃষ্টিকে আবৃত রাখে তখনই মনের এই আপোষমূলক মনোভাবের প্রতীকের ভাই  সর্বনাশের আবির্ভাব হয়। ঠিক যেমন মহাভারতে এভাবেই গান্ধারীর ভাই শকুনীর প্রবেশ ঘটেছিল।এই শকুনী হল মনের ভিতরের সেই কুটিল ভাবের প্রতীক যা আমাদের মনে আসে যখন মন বিবেচনা শক্তি হারিয়ে সবকিছুর সাথে আপোষ করতে চায়। আর এই কুটিল ভাব মানুষের মনের সকল শান্তি নষ্ট করে তাকে নিয়ে যায় সর্বনাশের পথে।

 কৌরব আর পান্ডবদের মাঝে রয়েছেন কর্ণ। মহাভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এই কর্ণ হলেন ইগো বা অহমিকার প্রতীক। তার রয়েছে কবচ কুণ্ডল যার ফলে তিনি অবধ্য।আমাদের এই ইগোও অবোধ্য। তাকে বধ করতে না পারলে জীবনের যুদ্ধে জয় অসম্ভব। তাকে বধ করতে হলে এই কবচ কুণ্ডল কেড়ে নিতে হয়। একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই পারেন সেই কবচ কুণ্ডল কেড়ে নিতে।অর্থাত আত্মা যখন বিবেককে গুরু করে এই অহমিকার কবচ কুণ্ডল কেড়ে নেয় তখনি ইগোকে বোধ করা সম্ভব। যেমন মহাভারতে পান্ডবদের জয়ের শেষ বড় কাঁটা ছিলেন কর্ণ তেমনি জীবের মুক্তির সবচেয়ে বড় কাঁটা এই ইগো। এর বধ একান্ত প্রয়োজন। 
   
   পান্ডবদের বনবাসের শেষে এল কুরুক্ষেত্র। কুরুক্ষেত্র কি? যে জগতে আমরা রয়েছি সেই হল কুরুক্ষেত্র।এই কুরুক্ষেত্র হল সেই জগত যেখানে নিয়ত চলছে ইন্দ্রিয় এবং মনের শতধা বিভক্ত প্রবণতার মধ্যে যুদ্ধ।  এখানে সমানে ভালো এবং মন্দের লড়াই চলে। এখানে পান্ডবপক্ষের পরামর্শদাতা শ্রীকৃষ্ণ পরামর্শ দিচ্ছেন অর্জুনকে বিপক্ষের ভালো মন্দ সবাইকে বধ করতে। কৌরবপক্ষে ভালো মন্দ দুই ছিল। কিন্তু তাও কৃষ্ণ তাদের সবাইকেই বধ করতে বলেছেন। কারণ - সকল প্রকার প্রবণতাই বধ করতে হয় মনকে নির্বিকল্প সমাধীর স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।তাই যেসব অসত প্রবণতা বা শুভ প্রবণতা মনে জাগে সবেরই বধ আশু প্রয়োজন। যথার্থ জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে গেলে ভালো মন্দ দুইকেই পেরিয়ে যেতে হবে। গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলছেন - এখানে শত্রু মিত্র কারোরই কোন অস্তিত্ব নেই। তুমি এদের কি বধ করবে?আগে থেকেই এরা বধ হয়ে আছে। তুমি নিমিত্ত হও।খানে প্রবণতাগুলির কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা এদের যেভাবে জন্ম দিই এরা সেভাবেই বড় হয়। এরা মূলত মৃত। সব প্রবণতা অস্তিত্বহীন।এদের আমরা বাঁচিয়ে রাখি আমাদের কর্মের দ্বারা। মুক্তি পেতে গেলে এই সব প্রবণতা বধ করতে হবে। 

  লেখাটি ক্রমশ বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই শ্রীকৃষ্ণের প্রসঙ্গ টেনেই আজকের মত ব্লগ শেষ করছি। শ্রী কৃষ্ণ হলেন জীবাত্মার প্রতীক যিনি পরমাত্মার অংশ । তাঁর গায়ের রং ঘন নীল যা অনন্তের প্রতীক যেমন নীল আকাশ বা নীল সমুদ্র। তাঁর জ্ঞান হল অনন্ত।তাঁর লীলাও অসীম। তিনি পীতাম্বর।হলুদ বস্ত্র পরেন। এই হলুদ হল পৃথিবীর প্রতীক। অর্থাত অসীম অনন্ত পরমাত্মার প্রতীক পার্থিব দেহ ধারণ করে এসেছেন। অর্থাত বাইরে পার্থিব দেহ,ভিতরে অনন্ত আত্মা। শ্রীকৃষ্ণ মহাভারতের যুদ্ধে ছিলেন দ্রষ্টা। জীবাত্মাও দ্রষ্টা। কিন্তু বিবেকের রূপে তিনি তার বাণী শুনিয়ে দেন পঞ্চপ্রাণ তথা পঞ্চইন্দ্রিয়কে। সেই কথা শুনে তারা যদি তাঁর কথা মেনে নেয় তবেই জয়যুক্ত হয় জীবনের কুরুক্ষেত্রে। পান্ডবদের জয় সেই রূপক বহন করছে।