Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Friday 22 November 2013

প্রকাশিত হল আমার "শ্যামের মোহন বাঁশি" বইটির তৃতীয় সংস্করণ

  প্রকাশিত হল আমার "শ্যামের মোহন বাঁশি" বইটির তৃতীয় সংস্করণ

আজকে প্রকাশিত হল আমার "শ্যামের মোহন বাঁশি" বইটির তৃতীয় সংস্করণ। এই বইটি আমাদের আশ্রমের গোপালসোনার কীর্তিকলাপের উপর লেখা। গোপালের লীলাসমূহ নিয়ে লেখা বইটি আমার,বাবার,মায়ের,দিদিমার ও আরো অনেক ভক্তের অভিজ্ঞতার সংকলন। গপাল্সনার দুষ্টুমির মধ্যে দিয়েই যে জাগে বাঁশীর সুর - তার কাছে যাবার আহ্বান বেজে ওঠে বাঁশীর তানেই। ছোটবেলা  থেকে গোপাল আমার ভাই,বন্ধু,সখা সব। তার সাথেই যে বেঁধেছি  প্রাণের ডোর। তাইত এই বইটি আমার কাছে বিশেষ একটি প্রিয় লেখা। আমার প্রিয় লেখা যে আমার পাঠক পাঠিকাদের ভালো লাগছে এই বইটির তৃতীয় সংস্করণ তার প্রমান। ২০১০ সালে এটির প্রথম সংস্করন প্রকাশিত হয়। ২০১৩এর মধ্যে তিনটি সংস্করণ স্পষ্টই বুঝিয়ে দিছে গোপালের কীর্তিকলাপে পাঠক পাঠিকারা কত মুগ্ধ। তাই আজ এই গ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশনার পর গোপালকে জানাই আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা। আর সেইসাথে আমার পাঠক পাঠিকাদেরও জানায় আমার কৃতজ্ঞতা -আপনাদের/তোমাদের সবার ভালবাসা ও শুভেচ্ছা সবসময়েই আমার চলার পথের পাথেয়। আশা করব - আপনাদের/তোমাদের  এই ভালবাসার শুভেচ্ছা চিরকাল থাকবে আমার বইগুলির সাথে। 

Sunday 10 November 2013

বারবার এসেছি ফিরে তোমাদেরই টানে

            বারবার এসেছি ফিরে তোমাদেরই টানে  

     কত হাসিকান্না,সুখ দুঃখের পথ পেরিয়ে এলাম বিগত লক্ষ কোটি বছরে। বিগত জন্মগুলিতে কত যোনীতে কতজনকে ভালোবাসলাম - কত আঘাত পেলাম,পেলাম কত সুখ। কতজন ভাঙলো এই হৃদয় , কতজনের হৃদয় ভাঙলো আমার জন্যে - তারপর আবার আমরা হারিয়ে গেলাম একে অপরের থেকে। কিন্তু হারিয়েও কি হারালাম? ফিরে এলাম সবাই নতুন রূপে - পুরনো হিসেবটাকে মিটিয়ে দিতে। কারণ সেই ঋণানুবন্ধ - কারো সাথে যে হিসেব মাঝপথে রেখে পালিয়ে যাবার জো  নেই। ফলে যতবারই আসি ফিরে ততবারই পূর্ব জীবনের সেই ঋণের অনুবন্ধও মেটাতে হয়। 
    আজো নিত্য কত মানুষের সংস্পর্শে আসি। কত পাঠিকাদের স্নেহ ভালবাসায় নিত্য অভিষিক্ত হই। কত সতীর্থ লেখক তথা অবিশ্বাসী নাস্তিক মানুষের বিরক্তির কারণও হই। তাদের কাউকে দেখে যেন মনে হয় - এতো অচেনা নয় - যেন চিনি কতদিন ধরে। গোপালের সামনে প্রশ্ন নিয়ে যাই। তার মিটিমিটি হাসিতে পেয়েও যাই উত্তর। 
    বাবার কাছে শুনেছি - যাদের শেষ জন্ম হয় তাদের সাথে শেষ দেখার জন্যে বিগত জন্মগুলির অনেক প্রিয়জনই ফিরে ফিরে আসেন। ভালবাসার সম্পর্ক তো কম জনের সাথে হয়নি বিগত কোটি কোটি জন্মে। তাদের মধ্যে যাদের মুক্তি এখন হয়নি তাদের অনেকের সাথেই দেখা হচ্ছে এই জন্মে। কেউ ছিলেন আমার মা,কেউ বাবা,কেউ ভাই,কেউ বোন্ ,কেউ প্রেমিকা,কেউ স্ত্রী,কেউ দাদা,কেউ দিদি,কেউ বা সন্তান,কেউ বা নাতি। তাদের সবার সাথেই এভাবেই বইয়ের মাধ্যমে হচ্ছে ফিরে দেখা। আধ্যাত্মিক পথে আমার কাজ তো একজনকে নিয়ে নয়,অনেকজনকে নিয়ে - তাই হয়ত তাদের সবার সাথেই হচ্ছে এই ফিরে দেখা - নানা রূপে নানা দেহে আসছেন তারা - তাদের সাথে কথা হলে বা মেসেজ আদানপ্রদান হলেও হয়ত তাই মনটা ভরে যায় আনন্দে। Farewell জন্মে তাই বোধহয় সবাইকেই পাচ্ছি নানা রূপে। 
    বাবার কাছে এও শুনেছি - শেষ জন্মে পূর্বজন্মের শত্রুরাও আসে ফিরে। তাদের যেটুকু আঘাত দেয়ার বাকি ছিল সেটুকু দিয়ে ঋণমুক্ত করে যায়। তাই এই জন্মে তাদের দেখাও কম মেলে না। তাই আঘাত পেলেও আজ আর কাঁদিনা। কারণ জানি - এই আঘাতে কাটছে আমার প্রারব্ধ -মিটে যাচ্ছে ঋণ। 
    দেহ তো বারবার শেষ হয়ে যায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর। কিন্তু আত্মার তো বিনাশ নেই। তাইত তাকে ফিরে ফিরে আসতে হয় পৃথিবীর বুকে - কে জানে এই ভালবাসার মানুষগুলোর টানই বোধহয় বারবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আমিও কতবার এসেছি এভাবে। তোমরা যারা আমার লেখা পড়ছ এখন তারাও হয়ত পূর্ব পূর্ব জীবনেও আমার সঙ্গে ছিলে ওতপ্রোতভাবে। হয়ত তাই বই-এর সুত্রে জন্মান্তরের সম্পর্ক আবার দেখা দিচ্ছে নতুনভাবে। মনে পড়ে যাচ্ছে সুমনবাবুর সেই গানটি -
  অমরত্বের প্রত্যাশা নেই,নেই কোনো দাবি দাওয়া,
  এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া। 
    তোমাদের সবার ভালবাসার নানা রূপ তো ঈশ্বরের দান। তাই তোমাদের কাছে তাঁর অমৃতের বার্তা পৌঁছে দেয়ার মাঝেই সার্থক আমার আসা। জানিনা কে সেটা অমৃত ভেবে নিল আর কে তা নকল ভেবে সরিয়ে দিল,তবে আমার কাজ ছড়িয়ে দেয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। বাকিটা তো তাঁর কাজ। তিনিই দেখবেন ও দেখছেন। 

Thursday 7 November 2013

সিরিয়াল killer

                      সিরিয়াল killer 

    পৃথিবীতে সত্যিকারের killer বোধহয় tv সিরিয়াল।tv সিরিয়ালের কিল যে খেয়েছে সেই উপলব্ধি করবে এই কিল-মহিমা।  সম্প্রতি আমার এক অল্পবয়েসী facebook ভক্ত আমায় মেসেজ দিয়ে প্রার্থনা করতে বলেছিল সতীর জন্যে যাতে তার গণেশকে রং করে যে ভাগীরথী অন্যায় করেছে সে যেন ধরা পড়ে, সম্মান থাকবেনা। শুনে তো আমি অবাক। কে এই সতী? আর ভাগীরথীই বা কে ? অবশেষে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে এরা tv সিরিয়াল সতীর একেকটি চরিত্র। অর্থাত - এই সিরিয়াল মানুষের মনে কি প্রভাব ফেলছে যে সতীর দুঃখে কাতর হয়ে একটি অল্পবয়েস্ক মেয়ে আমায় মেসেজ দিচ্ছে তার হয়ে প্রার্থনার জন্যে।
   আসলে এই সিরিয়াল হল মানুষের যথার্থ  হত্যাকারী। সিরিয়াল killer এক কথায়। এরা মানুষের স্বাধীন ভাবনা চিন্তার শক্তি নষ্ট করে দেয় এবং নিজেদের কাহিনীর ঘোরপ্যাচে মানুষকে জড়িয়ে নেয়। ফলে মানুষ তাই ভাবে যা সিরিয়াল  তাকে ভাবায়। সেইসাথে সময় যে কি পরিমাণ নষ্ট করায় তা বলাই বাহুল্য। ঘরে ঘরে মানুষরা এই সিরিয়ালের tension নিয়ে কাটায়  সারাদিন  আর দিনান্তে সব কাজ সেরে tv র সামনে হত্যা দিয়ে পরে থাকে তাদের পছন্দের সিরিয়ালের পরের পর্বটির জন্যে। (এর মধ্যে আধ্যাত্মিক সিরিয়াল যা আছে যেমন রামায়ন ,মহাভারত,দেব কি দেব মহাদেব এগুলো অবশ্যই লোকশিক্ষার কাজ করে। তাই আমার অভিযোগ এগুলির বিরুদ্ধে নয়। আমি সেইসব সিরিয়ালের কথা বলছি যা দৈনন্দিন সমস্যা এবং অনৈতিক কুশিক্ষার বীজ মানুষের মধ্যে ছড়ায়।) অর্থাত এক কথায় সিরিয়াল হল সময়ের বিরাট অপচয়।
   আমাদের বোঝা দরকার যে সময় আমাদের হাতে খুব কম। যেটুকু আছে তার মধ্যেই জীবনকে নিয়ে যেতে হবে মহাজীবনের পথে। তাই সময় বাঁচাতে হবে। আমার কথা বলতে পারি। আমার নিজের ঘরে টেলিভশন থাকলেও কেবল সংযোগ রাখিনি আমার ঘরে। কোনো সিরিয়াল আমি দেখিনা। হ্যা , ভালো ফিল্ম অবশ্য দেখি তবে তাও খুব কম -লেখার ফাঁকে বিনোদনের জন্যে। আর মূলত দেখি পুরনো দিনের ক্লাসিক বা ভক্তিমূলক ফিল্ম যার মধ্যে রুচিগত সৌন্দর্য খুঁজে পাই। ভক্তিমূলক সিরিয়ালের ডিভিডি কিনে রাখি অবসর মত  দেখার জন্যে যেমন রামায়ন ,মহাভারত,সাইবাবা,জয় শ্রী কৃষ্ণ ,দেব কি দেব মহাদেব ইত্যাদি।ভালো হাসির বই -ও রাখি যা রসবোধকে ক্ষুরধার করে।  কিন্তু নিয়ম করে tv -র সামনে যেতে রাজি নই। আগে ক্রিকেট দেখতাম,এখন তাও দেখিনা কারণ ক্রিকেট আর ক্রিকেট নেই,বেসবল হয়ে গেছে। এক কথায়, নিজেকে কিছুর মধ্যে আটকাতে রাজি নই আমি। আমি কেন অন্যকিছুর প্রলোভনে নিজেকে আটকাব? কোনো কিছু কেন আমাকে তার term dictate করবে? আমি থাকব আমার সময়ের মালিক। আর সময়কে ব্যবহার করব আসল প্রয়োজনে। কারণ আমাদের জীবনে সময় যে কম। বেলা যে বয়ে যায়। তাই সময়ের সদ্ব্যবহার খুব জরুরী। 

Friday 1 November 2013

আজো গোপাল ঘটায় কত লীলা

             আজো গোপাল ঘটায় কত লীলা  

আজকে বিশিষ্ট গায়িকা পাপিযাদি আমায় ফোন করে শোনালেন  অভিজ্ঞতা। বৃন্দাবনে এক মহাত্মার আশ্রমে তাঁর দেখা হয় এক ভদ্রমহিলার সাথে। তাঁর পাঁচটি গোপাল। সাথে ছিল তাঁর মেয়ে ও তার গোপাল। তাঁকে দেখে পাপিয়াদি  বৃন্দাবনে আজ ঘটে অঘটনের কথা। শুনে তো উনি খুবই আনন্দিত। বলেন তারাশিসের বই পরে যে আমার মেয়ের জীবনে কি অঘটন ঘটেছে কি বলব। পাপিয়াদি জিজ্ঞেস করেন - কি হয়েছে?
 তিনি বলেন, "আমার মেয়ের নাম মুন্নি।দিল্লিতে থাকে। তারাশিশের বই পড়ে ওকে আমি দিয়েছিলাম একটি গোপাল। আর তারপর ওকে বইটা পড়তে বলি।  বইটি ও কিছুতেই পরার সময় পাচ্ছিল না। আমিও তাগাদা দিতাম। অবশেষে একদিন ও বইটা পড়ল। সন্ধ্যা ৬টায়  ধরেছিল,ভোর হওয়া অবধি বারবার পড়েছে। তারপর ৫ দিন আর অফিস যায়নি। শুধু ঘরে বসে কেঁদেছে আর বলেছে - "গোপাল যদি সুতপার সাথে এরম করে তবে কেন আমার সাথে করবে না?" আর তারপর শুরু করলো গোপালের মনপ্রাণ দিয়ে সেবা। আর সেইসাথে শুরু হলো গোপালের লীলা।তার একটি বলছি। একবার আমর জামাই trafficএ আটকে জাবাতে flight miss করে। ও যখন বিমানবন্দরে পৌছেছে বিমান তখন ছেড়ে দিয়েছে। ও তখন ফোন করে মুন্নিকে বলল,'তোমার গোপাল কোনো কাজের না। ফ্লাইট মিস করালো' ,আশ্চর্যের ব্যাপার। সেই বিমান চলন্ত অবস্থায় থেমে গেল। তখন বিমানবন্দরে অর নাম ঘোষনা হচ্ছে। ওকে চলে যেতে বলা হলো runawayte  এবং runawayতে সিড়ি  লাগিয়ে ওকে তুলে নিয়ে তারপর ছাড়ল বিমান। এমন কত কান্ড অর সাথে নিয়মিত হচ্ছে। তুমি তারাশিসকে অবশ্যই বোল আমার মেয়ে ও তার গোপালের কথা। "
  পাপিযাদি আজকে সন্ধ্যায় আমায় ফোন করে জানালেন এই লীলার কথা। আমি শুনে মুগ্ধ ও শিহরিত। গোপালের অঘটন এভাবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক এই কামনাই করি। জয় গোপাল।