আসক্তি
আসক্তি হল যন্ত্রণার মূল কারণ। আবেগের যন্ত্রণা,রাগ,ভয়,হতাশা,অসুখ সব আসে আসক্তি থেকে। যে বস্তু পরিবর্তনশীল তার উপর আসক্তি এলেই আসে যন্ত্রণা।এটাই স্বাভাবিক। এই পৃথিবীতে সবই পরিবর্তনশীল।প্রকৃতি পরিবর্তনশীল।মানুষ পরিবর্তনশীল।যদি কখনো তোমরা নিজের ফেলে আসা দিনগুলির ছবি নিয়ে বস,দেখবে তোমরাও এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই চলেছ। বিগত দিনে তোমাদের কত আপনজন ছিল যারা আজকে সময়ের সাথে সাথে অনেক দূর হয়ে গেছে।আবার আজকে যারা তোমার কাছে আছে একদিন হয়ত এই সুত্র ধরেই তারাও চলে যাবে দুরে। ঋণানুবন্ধ শেষ হলেই সব শেষ। তাই আসক্তিতে নিজেকে বাঁধলেই যন্ত্রণা।
এর থেকে বাঁচার উপায় কি জানো ?অতীতকে দেখো ইতিহাস হিসেবে।যাকে তুমি পাল্টাতে পারবেনা কিন্তু তার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে পারবে।আর ভবিষ্যতকে দেখো এক রহস্যময় কাহিনী হিসেবে যেখানে ইশ্বরের আশির্বাদ ছাড়া একটুও এগোনো যাবে না।এতে তুমি পরিকল্পনা অবশ্যই করতে পারো কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হবে কিনা তা ঠিক করবেন ঠাকুর। তাই অতীত ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে বর্তমানকে মেনে নাও ঠাকুরের উপহার হিসেবে। নিজেকে অতীতের স্মৃতি আর ভবিষ্যতের জল্পনা থেকে যথা সম্ভব সরিয়ে নাও। বর্তমানটুকুই ঠাকুর তোমার হাতে দিয়েছেন।তাই শুধু তাকে নিয়ে থাকলেই চারপাশের চাপ ও যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠবে।আবেগের যন্ত্রনাও সইতে হবে কম।
নিজেকে বর্তমানে রাখার একটি সরল উপায় বলছি।সুখাসনে বসে নিজের বুড়ো আঙ্গুল আর তর্জনী একসাথে কর।তারপর চোখ বন্ধ করে গভীর স্বাস নাও।তারপর খুব ধীরে ধীরে সেই স্বাস ছেড়ে দাও - এই ছাড়ার সময়ে চেষ্টা কর ১০ থেকে ২০ গুনতে।প্রায় মিনিট পাঁচেক ধরে এমনটি করলে দেখবে মন অনেক শান্ত হয়ে এসেছে।তখন স্থির হয়ে বসলে শুনতে পাবে তোমার নিজের শ্বাসের শব্দ। নিজের নিশ্বাসের এই শব্দই হলো তোমার আত্মার স্বর।সেই স্বর যখনি জাগবে তোমার মধ্যে তখনি শুরু হবে আসক্তিকে কাটিয়ে ওঠার পালা।
No comments:
Post a Comment