নিন্দা হল বন্ধুর কাজ
আমার স্নেহের বোন মালা আমায় এক অধিবেশনে প্রশ্ন করেছিল : দাদা,কলকাতার একজন spiritual বইয়ের লেখক(তপোভুমি নর্মদার মহাত্মা বরফানী দাদাজীর উপর তাঁর বইও আছে) কারণে অকারণে তোমার নিন্দা করেন। আমি নিজের কানে তাঁর সেই অবান্তর নিন্দা শুনেছি।আমরা এর প্রতিবাদ করতে চাই। এ বিষয়ে তুমি কলম ধর দাদা।
উত্তরে আমি বলেছিলাম : এমনিতে দিলীপ কুমার রায় বলেছিলেন যে যারা দেখে - অপরের পিঠ চাপড়াতে না পারলে নিজের কপাল চাপড়াতে হবে তারাই অন্যের নিন্দা করে। তবে আমি কিন্তু অন্যভাবে ভাবি । আমি সানন্দে সেই লেখকের দীর্ঘায়ু ও কুশল কামনা করি। কারণ হিসেবে একটি কাহিনী বলছি। কাশীর এক সাধু সন্ত কবীরের খুব নিন্দা করতেন। কিন্তু কবীর সবসময়ে তাঁর কুশল চাইতেন।একদিন সেই সাধু মারা যান। ভক্তরা সেই সংবাদ কবীরকে দিলে তিনি ধুলায় লুটিয়ে পড়ে কাঁদতে থাকেন আর বলতে থাকেন, "হামারা ধোবি চলা গয়া। " পরে কবীর শান্ত হলে ভক্তরা যখন জিজ্ঞেস করেন তাঁর এই ব্যবহারের কারণ তখন তিনি বলেন,"তোমরা আমাকে এত ভালোবাসো ও সম্মান কর তাতে আমার তো অহংকার আসতে পারে যেটা পাপের সামিল,কিন্তু ওই সাধু আমার নিন্দা করে আমার সেই পাপতাপ নিজের মধ্যে টেনে নিতেন।তাই তিনি ছিলেন আমর প্রকৃত বন্ধু তথা ধোবি যিনি আমার ময়লা নিত্য পরিষ্কার করে দিতেন।আজ সেই ধোবিকে আমি হারালাম।" তাই তোমরাও সেই লেখকের উপর রাগ কোর না আমার নিন্দা করার জন্যে। তিনি যে এভাবেই আমর উপকার করে যাচ্ছেন। যাঁরা অকারণে নিন্দা করেন তাঁরা যে সত্যই ধোপার মত বড় বন্ধুর ভুমিকা পালন করেন। তাই সবসময়ে তাঁদের ভালো চাইতে হয়।
No comments:
Post a Comment