আক্কেল তবে রাস্কেল নয়
মানুষের আজকাল আক্কেল নিয়ে ভারী সমস্যা। আক্কেল থাকলে লোকে বলে বুর্জোয়া। আর না থাকলে বোকা। আমাকে এতদিন দ্বিতীয় দলেই ফেলা হত। জাগতিক আক্কেল কোনকালেই নেই আমার। ইহকালে তো নেইই ,পরকালেও আশা নেই। কিন্তু এহেন আমারি উঠলো আক্কেল দাঁত। ৩-৪ বছর সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে অবশেষে তুললাম গতকাল। ডাক্তার আমাকে দাঁত তুলে দেখালেন - এটাই ছিল সেই আক্কেল দাঁত - লাগলো অনেকটা জাহাজের মত,উপরে তিনটে মাস্তুল আর শিকড় ছিল কত গভীর বলা মুশকিল।
তবে দাঁতটি দেখে কেমন বিরক্তি লাগলো। এই একটা দাঁতের জন্যে এত কষ্ট পেয়েছি এতদিন? দেখেই মনে হলো - এই দাঁত তো আমার দেহের অঙ্গ ছিল,সেটা যখন দেহ থেকে বেরিয়ে গেল কোন খারাপ তো লাগলো না। ব্যবহারের অযোগ্য ছিল বলেই ওটাকে বের করে দেয়া হলো। তাহলে মৃত্যু নিয়ে আমরা এত ভাবি কেন?যখন শরীর অকেজো হয়ে যাবে শরীরটাকেও তো এমনি ফেলে দিতে হবে। তখন শরীর থেকে বেরিয়ে ওটাকে দেখে আমরাও,অর্থাত আমাদের আত্মাও এরকমই বিরক্ত হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। দেহ যতক্ষণ আছে কাজ করে যাও,দেহ অকেজো হলে বা তার কোনো অঙ্গ অকেজো হলে সেটা বাদ দিয়ে দাও। যতদিন এভাবে বাদ দিতে দিতে চলে চালাও,তারপর বেরিয়ে পড় আপন শরীরে অনন্তের পথে।
No comments:
Post a Comment