Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Sunday 5 May 2024

একাদশীর উপবাস পালন কি সবার জন্যেই বাধ্যতামূলক? আর একাদশী করলে সধবাদের ক্ষতি হয় এটা কি সত্যি? লিখছেন তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রশ্ন - একাদশীর উপবাস পালন কি সবার জন্যেই বাধ্যতামূলক? আর একাদশী করলে সধবাদের ক্ষতি হয় এটা কি সত্যি?

    তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় : এটি এক দীর্ঘ আলোচনার বিষয়। এই ক্ষেত্রে প্রথমেই বলব - উপবাস মানে কি? সাধারণ ভাবে আমরা উপবাস বলতে বুঝি অনশন। কিন্তু প্রাচীন
শাস্ত্র অর্থাৎ শতপথ ব্রাহ্মণ, ঐতরেয় ব্রাহ্মণ প্রভৃতি গ্রন্থে উপবাস শব্দের অর্থ ছিল 'নিকটে বাস'। (যেহেতু উপ শব্দের অর্থ হল নিকট।)
অর্থাৎ নিয়ম পালনপূর্বক শুদ্ধ বস্ত্র পরে ঈশ্বরস্তুতি করতে করতে যজ্ঞের অগ্নির কাছে বাস করাটাই ছিল উপবাস। এখানে কিন্তু উপবাস শব্দের
অর্থ অনশন বা অনাহার ছিল না। কারণ, ব্রতোপযোগী আহারের ব্যবস্থার কথা এসব গ্রন্থে দেয়া আছে। তবে আহারের সাথে যেহেতু মলমূত্র ত্যাগের সম্বন্ধ রয়েছে তাই কিছু না খেয়ে সাত্বিকভাবে পূজায় অংশগ্রহণ করাই ছিল বিধি। 
      কিন্তু পরে পৌরাণিক যুগে এই উপবাসের অর্থ বদলে যায়। ভবিষ্যপূরানে বলছে - সমস্তরকমের পাপকাজ তথা ইন্দ্রিয়ভোগ্য বিষয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আহারের প্রতি আসক্তি ত্যাগ করে সাত্ত্বিক গুণ ধারণ করে ব্রত পালনই হল উপবাস। রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডের ২৬তম অধ্যায়েও এই ব্রত উপবাসের উল্লেখ আছে। 
   এবার দেখা যাক - শাস্ত্র কি? শাস্ত্র হল স্মৃতি, শ্রুতি,তন্ত্র ও পুরাণ। স্মৃতি হল সমাজশাস্ত্র এবং শ্রুতি হল ধর্মশাস্ত্র। শাস্ত্র বিধান বলে - শ্রুতি  আর স্মৃতি শাস্ত্রে বিরোধ দেখা দিলে শ্রুতিই (বেদ) মানতে হয়। আবার স্মৃতি ও পুরাণে বিরোধ দেখা দিলে স্মৃতি মানতে হয়।
 আমরা আগেই দেখেছি যে বেদ, গীতা এবং সংহিতার কোথাও কিন্তু একাদশী নিয়ে উল্লেখ নেই।  
    এবার আসা যাক একাদশীর বিষয়ে। আমরা দেখেছি - মহাভারতে একাদশী তিথির উল্লেখ রয়েছে। সেই একাদশী কিন্তু স্ত্রী পুরুষ সধবা বিধবা সবার জন্যেই করতে বলা আছে। কিন্তু একাদশী বিষয়ে সবচেয়ে authentic 'একাদশী মাহাত্ম্য' বইয়ে এই প্রসঙ্গে যে সব নিয়মের উল্লেখ মেলে এবং শ্রীকৃষ্ণ ও যুধিষ্ঠিরের মধ্যে প্রত্যেক একাদশী নিয়ে যে আলোচনা পাওয়া যায়, সেগুলো মহাভারতে নেই। এছাড়া কোন বেদান্ত, উপনিষদ, গীতাসহ কোন বৈদিক শাস্ত্রে এই ব্রত পালনের প্রমাণ পাওয়া যায় না। একটি মত আছে - বৈষ্ণবদের  ক্রিয়াযোগসারে যে হরিবাসরের উল্লেখ আমরা পাই, সেটিই সম্ভবত সময়ের সাথে সাথে একাদশীর উপবাসে পরিনত হয়েছে। সেখানে বিধবাদের জন্যে   ইন্দ্রিয় ও মনের সংযম রাখার জন্যে অবশ্য পালনীয় একাদশীর কথা লেখা আছে। সেখান থেকেই সম্ভবত এই একাদশীর উদ্ভব। বিষ্ণু সংহিতা গ্রন্থেও আছে একাদশী তিথির উল্লেখ। তাই দেখা যাচ্ছে শ্রুতিতে একাদশীর উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রে একাদশী ব্রতের উল্লেখ মেলে। 
    এখন দেখা যাক একাদশী মানে কি? একাদশী একটি চান্দ্র তিথি। প্রতি মাসে কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষে দুবার একাদশী তিথি পর্যায়ক্রমে আসে। শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভু লীলাবিলাসের সময় একাদশী উপবাসের ব্রত প্রবর্তন করেন। সেদিক থেকে এটি একটি বৈষ্ণব প্রথা। হরিভক্তিবিলাসে শ্রীরূপ গোস্বামী একাদশীর মহিমা তুলে ধরেছেন। আর মহাপ্রভু যে ব্রত করতে বলেছেন তা পালন করা প্রতিটি বৈষ্ণবেরই অবশ্য কর্তব্য। 
  কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসে - মূল একাদশী কি? পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং এদের মূল চালিকাশক্তি মন - এই একাদশ ইন্দ্রিয় দমনের নাম হল একাদশী। একাদশী মানে শুধু না খেয়ে থাকা নয়। এই একাদশ ইন্দ্রিয় দমন হল প্রকৃত একাদশী। এই একাদশ ইন্দ্রিয় দমন না হলে স্থূল উপবাস শুধু করলে সব পাপ মোচন হবে এমনটা ভেবে নেয়া ভুল। তবে এটা বলা যায় যে একাদশী এই ইন্দ্রিয় দমনে সাহায্য করে। অবশ্যই যদি উপবাসের সাথে এই একাদশী নিষ্কাম জপের মাধ্যমে কাটানো যায়।
    একাদশীর নিয়মাবলী যদি দেখা যায় সেখানে বলা আছে - এই উপবাস নির্জলা পালন করতে হবে এবং সারা রাত জেগে হরিনাম করতে হবে। কিন্তু গীতায় রয়েছে শ্রীভগবানের উবাচ - অধিক নিরাহার ও অধিক রাত্রি জাগরণ যাঁরা করেন তাঁদের যোগসাধন হয় না। এছাড়া বিজ্ঞানের মত ধরলেও অনাহার ও রাত জাগরণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
   আবার পৌরাণিক শাস্ত্র বলে  - একাদশীতে অন্নতে পাপ বিরাজ করে। তাই ওদিন অন্নসহ পঞ্চশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ আছে। অন্নভোজন না করে অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করা যায় যেমন জল,ফল, ইত্যাদি। আবার
স্কন্দপুরাণে বলা আছে 
একাদশীতে যে অন্নভোজন করে সে পিতা, মাতা , ভ্রাতা ও গুরু হত্যাকারী।
   এমন মন্তব্যের সমর্থন  কিন্তু কোন বৈদিক শাস্ত্রে নেই। বরং বৈদিক শাস্ত্রে অন্নকে ব্রহ্ম বলা হয়েছে। আর ব্রহ্মে পাপের প্রবেশ কিভাবে হয় এই সম্বন্ধে কোন মত আমার অন্তত জানা নেই। তাই এটিকে লোকাচার মেনে নেয়াই শ্রেয়। আর আমি ধর্মভীতিতে বিশ্বাসী নই। আমার লক্ষ্য মানুষের মনে জাগুক ধর্মপ্রীতি।
    তবে এটাও সত্যি যে ব্রত পালনের মাধ্যমে সংযম হয়। সংযমের ফলে একটা দিন ভালো কাজ করা হয় তথা খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা যায়। 
    আবার দেখ, এরকম পুরাণে আবার বলছে - সধবা নারীর শুধু একাদশী নয়, স্বামী জীবিত থাকলে যে কোন উপবাসব্রত করা শাস্ত্রে নিষেধ আছে। যেমন- 
  "পতৌ জীবতি যা নারী উপবাসব্রতং আচরেৎ,
 আয়ুষ্বংহরতেভর্তুর্মৃতানরকামিচ্ছতি।।
(পদ্মপুরাণ। সৃষ্টিখণ্ড।৩৪/৭৪)
অনুবাদ- যে স্ত্রী স্বামী জীবিত থাকতে উপবাস ব্রতের আচরন করে, সে স্বামীর আয়ু হরণ করে ও মৃত্যুর পর নরক গমন করে। একই নিষেধ অত্রি সংহিতার ১৩৬ নং শ্লোকেও বলা হয়েছে। কিন্তু আবার সেই মত ধরলে সধবাদের নীল ষষ্ঠীর উপবাস, কালীপূজার উপবাস, শিবরাত্রির উপবাস এবং দুর্গা অষ্টমীর উপবাস করা চলে না। অথচ এই ব্রত তো বহু মানুষ করছেন এবং তার সুফলও তাঁরা পাচ্ছেন। আসলে নানা পুরাণের নানা মত। যুগে যুগে মানুষের মুখে মুখে ফিরতে ফিরতে এমন কত কাহিনী যোগ হয়েছে।
    তবে এর একটা প্রতিকারের কথাও বলা আছে একাদশীর ক্ষেত্রে। যেখানে স্বামী স্ত্রী উভয়ে মিলে একাদশী করেন সেখানে কিন্তু একাদশী দুজনকেই শুভ ফল প্রদান করে। সেখানে কারোর দুর্ভাগ্য নেমে আসে না কিন্তু।
   আবার দেখ, একই পদ্মপুরানের উত্তরখণ্ডে মেলে একাদশী ব্রতের স্তুতি -
  "দুর্ভাগা যা করোত্যেনাং সা স্ত্রী সৌভাগ্যমাপ্নুয়াৎ।
লোকানাঞ্চৈব সর্ব্বোষাং ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী।।"
[ পদ্মপুরাণ, উত্তরখন্ড, ৪৮।৪ ]
  অর্থাৎ যে দুর্ভাগা স্ত্রী একাদশী ব্রত আচরণ করেন, তিনি সৌভাগ্য লাভ করেন। এই একাদশী ব্রত সর্বলোকের ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী, সর্ব্বপাপহারিণী ও গর্ভবাসনিবারিণী। 
  তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে একাদশী ব্রত মানুষের ভিতরের সংযম আনতে সাহায্য করে। তাই একাদশী না করার যুক্তির চেয়ে একাদশী করারই যুক্তি শ্রেয়। আর যদি একান্ত একাদশী ব্রত পালন না করা যায় কোন কারণে তাহলে পঞ্চ মহাযজ্ঞ করলেও একই ফল হবে।
     এখন দেখা যাক এই পঞ্চ মহাযজ্ঞ কি? 
     পঞ্চমহাযজ্ঞ হল আত্মার উত্তরণের বৈদিক পথ। এর মধ্যে প্রথম হল ব্রহ্মযজ্ঞ। 
ব্রহ্মযজ্ঞ হল ব্রহ্মকে জানার প্রচেষ্টা। এই ব্রহ্মকে জানলেই যে  জন্মমৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তিরূপ মোক্ষের দিকে এগোনো সম্ভব। ব্রহ্মকে জানার যেকোন প্রচেষ্টাই ব্রহ্মযজ্ঞ যেমন যোগ, প্রাণায়াম, স্বাধ্যায় [শাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন], অধ্যাপনা, ঈশ্বরের স্তুতি, প্রার্থনা, উপাসনা।
      দ্বিতীয় যজ্ঞ হল দেবযজ্ঞ।
নিত্য অগ্নিহোত্রসহ সকল যজ্ঞ, প্রকৃতির পরিশুদ্ধির জন্যে হবি অর্পণ, বিদ্বানগণের সংসর্গ লাভ ও সেবা করাই দেবযজ্ঞ। গীতায় আছে বিশেষ তিথিতে কাঠ, নানা শস্যদ্রব্য, ঘি, সুগন্ধি মশলা, কেশর, জাফরান, ফুল প্রভৃতি দিয়ে যজ্ঞ করলে বায়ু বিশুদ্ধ ও নিরোগ থাকে।
       তৃতীয় যজ্ঞ  হল পিতৃযজ্ঞ। এমনিতে আমাদের প্রপিতামহ-প্রপিতামহী, পিতামহ-পিতামহী, মাতা- পিতা, স্বগোত্রীয় কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ, গুরু আচার্য বা অন্য যেকোনো বিদ্বান্ ও শিক্ষিত ব্যক্তি যাঁরা  মান-সম্মান পাওয়ার যোগ্য তাঁদের 'পিতর' বলা হয়। তাদের যথাযথভাবে সন্মান প্রদর্শন, তাঁদের সাথে ভালো আচরণ ও তাঁদের শ্রদ্ধা করাই হল পিতৃযজ্ঞ। অর্থাৎ গৃহস্থ ব্যক্তি অন্নাদি ভোজ্য পদার্থ এবং জল, দুধ, কন্দমূল, ফল ইত্যাদি দ্বারা পিতরদের প্রসন্নতার জন্য প্রতিদিন শ্রদ্ধা সহকারে পিতামাতার সেবা-সৎকার করবে। এখানে ভগবান্ মনু স্পষ্টভাবে জীবিত পিতরদের সেবা করার জন্য বিধান দিয়েছেন এবং সেটি প্রতিদিন করতে বলেছেন। প্রসঙ্গত অন্ত্যেষ্টি কর্ম ছাড়া পৃথক কোনো কর্ম মৃতের জন্য দ্বিতীয়বার কর্তব্য নয়।   
      চতুর্থ যজ্ঞ হল ভূতযজ্ঞ।
ভূতযজ্ঞ হল জগতের সকল মানুষ ও পশুপাখির কল্যাণ কামনা ও তাদের সর্বদাই যথাসাধ্য সাহায্য করা। অসুস্থ মানুষের সেবা, দুঃস্থদের সাহায্য, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান, অবলা প্রাণীর জন্য আহার, আশ্রয়ের ব্যবস্থা এসবই ভূতযজ্ঞ। 
     পঞ্চম হল অতিথিযজ্ঞ। অর্থাৎ অতিথিদের যথাযথ সেবা। এখন কে অতিথি? অথর্ব ভেদ বলছে - যিনি পূর্ণ বিদ্বান, পরোপকারী, জিতেন্দ্রিয়, ধার্মিক, সত্যবাদী, ছল-কপট-রহিত, নিত্য ভ্রমণকারী মানুষ তিনিই 'অতিথি'।  কারো ঘরে যখন এসব গুণযুক্ত যোগ্য অতিথি আসেন তখন তাঁর সেবা করাই গৃহস্থর যজ্ঞ। কেউ একাদশী না করে এই পঞ্চ যজ্ঞ করলেও তাঁর আত্মিক উত্তরণ হবে।
     এতো গেল একাদশীর বিকল্পের কথা। তবে এই প্রসঙ্গে বলি - একাদশী কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত।  ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন জাপানের গবেষক ইয়োশিনোরি ওহশোমি এই উপবাসের প্রক্রিয়া বিষয়ে গবেষণা করে। জীবদেহ কেমন করে ত্রুটিপূর্ণ কোষ ধ্বংস করে নিজের সুরক্ষা করে এবং কোষ কীভাবে নিজের আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে সুস্থ থাকে, সেই রহস্য বের করেন তিনি। বিজ্ঞানের ভাষায় একে  বলা হয় অটোফেজি। এটা হল শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ পরিষ্কার করার  প্রক্রিয়া। এটি সম্পন্ন  হয় কোষীয় পর্যায়ে। আমরা জানি - শরীরের বিভিন্ন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রোটিন তৈরি হয় এবং প্রোটিনের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রোটিনের গঠনটি অ্যামিনো অ্যাসিডের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক হতে হয়। যদি ত্রিমাত্রিক না হয় তবে প্রোটিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয় ও নানা রোগ সৃষ্টি করে। তাই উপবাস  থাকতে হয় প্রায় ১৩-১৫ ঘন্টা। এই সময় জল ছাড়া অন্য সকল খাবার বাদ দিতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ১৩ তম ঘণ্টা থেকে ১৮তম ঘণ্টার মধ্যে অটোফেজি সক্রিয় হয়। তখন কোষের আবর্জনা ও ক্ষয়ে যাওয়া কোষ রিসাইক্লিং হয় এবং সেইসাথে হয় নতুন কোষাণু তৈরি ও শক্তি উৎপাদন। কিন্তু এই সময়  সম্পূর্ণ অনাহারে থাকতে নেই - প্রচুর জলপান করা বিধেয়। তাই দেখা যাচ্ছে - অতীতে যা আমাদের কাছে ছিল একাদশী ব্রত তা মাসে দুবার পালন করলে শরীর ভালই থাকে। তবে ব্রত নির্জলা করলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই ব্রতের সাথে বেশী জলপান প্রয়োজন।
   সব মিলিয়ে দেখতে গেলে একাদশী পালন করলে কোন ক্ষতি নেই। বরং লাভ আছে। একাদশী পালন করলে পুণ্যলাভ হয়। যদিও গীতার মত মানলে  ফলের আশা করে কর্ম করা ঠিক নয়, তবে সাধারণ মানুষজন তো ফলের জন্যেই কর্ম করে। আর যেকোনো ব্রত উপাসনা শ্রদ্ধার সাথে সম্পন্ন করলে তাতে পুণ্য সঞ্চয় অবশ্যই হয়। তবে যেহেতু একাদশী ব্রতর কোন উল্লেখ বেদ তথা স্মৃতি শাস্ত্রে নেই, তাই এটি পালন না করলে পাপ হবে এটাও বলা যায় না। 
   এক কথায় বলব, সবার এই প্রসঙ্গে আপন আপন গুরুর সিদ্ধান্ত অনুসরণ করাই ঠিক হবে। ভক্ত যদি বৈষ্ণব হন অবশ্যই একাদশী করবেন। আর যদি শাক্ত হন নাও করতে পারেন। এখানে পাপ পুণ্যের কোন জায়গা নেই। নিজের মানসিক সন্তোষ হল আসল।  তাই একাদশী করার জন্যে কাউকে যেমন জোর  করা উচিত নয় তেমনিই না করার জন্যেও জোর করা ঠিক নয়। সকলের ব্যক্তিগত অভিমতের উপরেই এই একাদশী পালন ছেড়ে দেয়া সমীচীন আমার মতে।

#booklover 
#books
#booknow
#ভক্ত
#জয়_মা_তারা_পবলিশার্স
#spiritualgrowth
#spirituality
#spiritualjourney
#spiritualbooks
#devotionalbook
#devotion
#devotional
#virals
#viralpost
#publisherstory
#publishing
#combo
#offers
#readers
#readerscommunity
#grow
#soul
#development
#journey
#jaymatarapublishers

2 comments:

  1. অনেকদিন ধরেই একাদশীর উপবাস নিয়ে মন ধন্দে ছিলো, এত সুন্দর ব্যাখ্যা পড়ে মনের সব দ্বিধা দূর হয়ে গেলো, তোমায় অনেক ধন্যবাদ ও প্রণাম দাদাভাই 🙏

    ReplyDelete
    Replies
    1. এত সুন্দর বিস্তৃত ভাবে বুঝিয়েছ ভাই, খুব ভাল লাগল। ভীষণ কার্যকরী পোস্ট। জয় গোপাল সোনা ।❤️❤️❤️❤️❤️❤️

      Delete