।। হাসি তবু হাসি নয়।।
দুই - বন্ধু-র পথ বড় বন্ধুর
জীবন হলো একটি কর্মক্ষেত্র। এটিকে তুমি যেমন বানাবে এটি তেমনিভাবেই ধরা দেবে তোমার কাছে। জীবনকে ভালোভাবে গড়তে পারলে তার কৃতিত্ব তোমার। সেটির বারোটা বাজালে তার দায়ও তোমার। আর এই কাজে তোমার পাশে বড় ভুমিকা নেবে তোমার বন্ধুরা।
জীবন তোমায় অনেক বন্ধু দেবে।অনেক বন্ধু ছিনিয়েও নেবে। আসবে অনেকে,থাকবে কিন্তু সামান্য কয়জন। এই বন্ধুরা আত্মীয়দের মধ্যে থেকে আসতে পারে,আসতে পারে স্কুল,কলেজের সুত্র ধরে কিংবা কর্মক্ষেত্রের সহকর্মী হয়ে। কিন্তু তারা সত্যিকারের বন্ধু কিনা তা বোঝার অবসর ঠাকুরই দেবেন তোমায়।যখন দুঃখ আসবে তখনি চিনবে কে সঠিক বন্ধু। সুখের সময়ে বন্ধু সবাই।সেইসময়ে বোঝা যাবে তুমি কেমন বন্ধুবত্সল। আর দুঃখের সময় এলে বোঝা যাবে তোমার বন্ধুরা কতটা বন্ধুবত্সল। যারা হারাবার তারা তখনি হারাবে।আর যারা সেইসময়েও থাকবে তোমার পাশে বুঝবে তারাই যথার্থ বন্ধু। সেইসময়ের বন্ধুদের খুব ভালোভাবে ধরে রাখতে হয়।কারণ সেই হলো যথার্থ জন্ম- জন্মান্তরের সম্পর্ক। তারা একবার হারিয়ে যাওয়া মানে বিরাট ক্ষতি।তাই দুঃখের সময়ের বন্ধুদের আঁকড়ে থাকবে আর যারা শুধু সুখের পায়রা তাদের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে থাকাই ভালো।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি - আমার বন্ধুর সংখ্যা খুব কম। কারণ সমভাবাপন্ন ছাড়া আমি মিশতে পারিনা। আর যাদের সাথে একবার মিশে যাই তাদের ছাড়তে পারিনা। স্কুলে আমি খুবই একঘরে জাতীয় ছিলাম সবার সাথে মিশতে পারতাম না বলে। আস্তে আস্তে অবশ্য মিশুকে হয়ে উঠি তবে তেলে জলে ধাচের ছিলাম। মিশতাম উপর উপর। এইসময়ে বন্ধুও পেয়েছি কিছু ,আবার হারিয়েওছি। তবে আধ্যাত্মিক জীবনে আসার পরই পেলাম কিছু এমন বন্ধু যাদের সাথে নিজের আমিকে ভাগ করে নেয়া যায়। এই সাধনপথে যাদের সাহচর্য আমাকে খুব সাহায্য করে। এদের মধ্যে আমার আধ্যাত্মিক অধিবেসন গ্রুপের বন্ধুদের কথা বলতেই হয় যাদের প্রেরণা আমাকে বিরাট সাহায্য করে এগিয়ে যেতে। আসলে আমি বরাবরই মন দেখে বন্ধু বেছেছি।তাই বন্ধুসুত্রে কখনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি আমায়।
No comments:
Post a Comment