Ami Tarashis Bolchi

Ami Tarashis Bolchi
The blog of Tarashis Gangopadhyay (click the photo to reach our website)

Thursday 6 June 2013

বই সম্পর্কে - এক .. "মহাপ্রভুর নীলাচলে আজো চলে লীলা"

         বই সম্পর্কে ...."মহাপ্রভুর নীলাচলে আজো চলে লীলা"

                                         ।। এক।। 

     অবশেষে আগামীকাল প্রকাশলাভ  করছে  আমার ১৭তম বই - "মহাপ্রভুর নীলাচলে আজো চলে লীলা"। আগামীকাল বিকেল নাগাদ বইটি binder এর থেকে নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই পৌছে দেয়া হবে মহেশ লাইব্রেরীতে। তারপর সেখান থেকে অন্যান্য দোকানে যাবে বই।
      "মহাপ্রভুর নীলাচলে আজো চলে লীলা" আমার কাছে একটি স্বপ্নের মত।সহসাই আমি আমার বন্ধু সুজয়ের থেকে পাই পুরী পরিক্রমার আমন্ত্রণ ২০১২ সালে আর তারপর বেরিয়ে পড়ি পথে। পুরী যাওয়ার আগেভুবনেশ্বর,কোনারক,উদয়গিরি,খন্ডগিরি,ধবলগিরি যেমন দর্শন করেছি তেমনি পরিক্রমা শেষে দর্শন করেছি নীলমাধব যেখান থেকে জগন্নাথের লীলার উত্পত্তি। সেইসাথে পায়ে হেঁটে তিনদিন ধরে পরিক্রমা করেছি সম্পূর্ণ পুরিধাম ও সেখানকার সকল মুখ্য মন্দির। সব মন্দিরে দাঁড়িয়ে সেখানকার মাহাত্ম্য কীর্তনের সৌভাগ্য হয়েছে আমার।এই সফরে আমার আরেকটি খোঁজ ছিল শ্রী চৈতন্যদেবের অন্তর্ধান সম্পর্কে।তার সম্বন্ধেও পেয়েছি যথাযথ ব্যাখ্যা। এই সফরে আমি সাথে পেয়েছিলাম মিশ্রজীর মত এক প্রবীন ভক্তকে। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার আলোয় জানিয়েছেন যে জগন্নাথদেব  আজো  যেমন পুরিধামে নিত্যলীলা করেন,তেমনি মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবও নিত্য লীলা ও কীর্তন করেন আজ সুক্ষ্ম দেহে তাঁর পার্ষদদের নিয়ে। সেই লীলা কোনো কোনো ভাগ্যবান শুধু দেখতে পান। মিশ্রজী তাঁদেরই অন্যতম।
এহেন লীলার খোঁজ পেয়ে আমি তো মন্ত্রমুগ্ধ।শুধু তাই নয়,জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিটি মন্দিরের মাহাত্ম্য,লীলাকথা সব তুলে ধরেছি এই বইটিতে যাতে পাঠক পাঠিকারা বইটি হাতে নিয়ে সম্পূর্ণ পুরীকে জানতে পারেন - ইতিহাস,ভূগোল,পুরাণ এবং দৈবী মহিমার দিক দিয়ে। আজ পর্যন্ত প্রায় সবাই তো পুরীতে গেছি কিন্তু পুরীর যতটুকু 
আমরা জানি তার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশী আমাদের অজানাই রয়ে গেছে।সেই অজানাকে আমার সব পাঠক পাঠিকাদের কাছে তুলে ধরার জন্যেই আমার এই প্রয়াস। সেইসাথে রয়েছে শ্রী চৈতন্যদেবের অন্তর্ধান সম্পর্কে সকল গবেষকদের মোট সাজিয়ে বিশ্লেষণ যদিও মিশ্রজীর মুখে যে অন্তর্ধান সম্বন্ধে শুনেছি সেটিই আমার মতে মনে হয়েছে সর্বশেষ হিসেবে।
      বহুদিন ধরেই পুরী নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল আমার।আমার বিশেষ বন্ধুরা অনেকেই সে বিষয়ে আগেই বলেছিলেন।কিন্তু সময় সুযোগ হচ্ছিলনা বলে বিলম্ব হলো।তবে ঠাকুর যা লেখানোর লিখিয়ে নিয়েছেন। আমার করণীয় শেষ। এবার পাঠক পাঠিকাদের ভালো লাগলেই সার্থক হবে আমার প্রয়াস। আগামীকাল আসছে সেই বহু প্রতিক্ষিত দিন।

No comments:

Post a Comment