প্যাঁচা হয়ে বাঁচা দায়
আমাদের সমাজে হুতোমের বড় সংখ্যাধিক্য। অনেকেই মনে করেন - সব জায়গায় গুরুগম্ভীর থাকতে পারার মাঝেই সম্মান। কিন্তু সবিনয়ে বলি - ধারণাটা ভুল। জীবন দুদিনের। প্যাঁচা হয়ে এখানে বাঁচা দায়। আর কেনই বা প্যাঁচা হতে যাবেন?এই জীবনে ভালোভাবে বাঁচার শ্রেষ্ঠ উপায় রসেবশে বাঁচা।ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ কি তাই বলেননি?অতএব মনের মধ্য থেকে যত মেঘ দূর করে দিন। মুখের উপর থেকে গাম্ভীর্যের মুখোশটা খুলে ফেলুন। মনের সুপ্ত অনুভুতিকে অনুভব করার চেষ্টা করুন।প্রকৃতির মাঝে নিজেকে মেলে ধরুন।ঘাসে ভরা মাঠে শুয়ে একবার নীল আকাশটাকে দেখুন। দেখতে পাবেন - প্রকৃতি হাসিতে খুশিতে ঝিলমিল করছে। আর এই সকল রূপের মধ্য দিয়ে ইশ্বর রয়েছেন আনন্দে।এই আনন্দই তো আমাদের স্বরূপ। তবে কেন বহিরঙ্গের কাজের চাপে নিজেকে লুকিয়ে রাখা খোলের ভিতরে?নিজে হাসুন। সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলুন।খুশীতে ভরিয়ে দিন সবাইকে। দেখবেন সবার খুশীতে ভরা মুখগুলিই আপনাকেও ভরিয়ে দেবে আনন্দে।তখনি তো বুঝবেন - বাঁচা কাকে বলে? আধ্যাত্মিক পথেও আনন্দে থাকার প্রয়োজন। যদি একবার মাথায় ঢোকে যে "আমি জ্ঞানী" ব্যাস তবেই গেল।আবার কেঁচে গন্ডুষ করতে হবে। তার চেয়ে রসেবশে থাকবেন ছোট্ট শিশুর মত। সবাইকে ভালবাসবেন আর সবাইকে আনন্দে ভরিয়ে রাখবেন। এভাবে থেকেই মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।তখন দেখবেন - যে আনন্দের অনুভুতি আপনার মধ্যে জাগছে তা আর আপনাকে হুতোম হতে দেবেনা। সেই যে প্রকৃত আনন্দ।
No comments:
Post a Comment