গুরুকরণের সাধারণ কারণ
অধিকাংশ মানুষ কেন গুরুকরণ করে জানো ?যাতে সাংসারিক সমস্যার থেকে মুক্তি পায়। তাদের কাছে সিদ্ধিলাভের কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার স্বামীর চাকরিতে উন্নতি,স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকা,সন্তান ছোট হলে তার পড়াশোনা ভালো হওয়া,সন্তান বড় হলে তার বিয়ে বা চাকরির সমাধান করা ইত্যাদি কাজগুলো পূরণ করে দেয়ার জন্যে একটি যন্ত্র।সাধারণ মানুষের কাছে গুরু হল এই যন্ত্র। সেজন্যে তারা তাদের পার্থিব ঝামেলা নিয়ে গুরুকে বিব্রত করে। তাদের যা অসুবিধা হবে সেটাই গুরুকে মেটাতে হবে - এমনটাই তাদের চাহিদা।
তাই গুরু যারা হয় তাদের আগে শিষ্যকে চিনে নেয়া প্রয়োজন।যারা জাগতিক জগতের সাথে ওতপ্রোত হয়ে আছে এবং জাগতিক ছাড়া চাহিদা নেই তাদের দীক্ষা দেয়াই উচিত নয়। বলা উচিত - আগের স্তরের কাজগুলো সেরে এস,তারপর দীক্ষার কথা ভেব। কারণ দেখ- এসব শিষ্যরা ভাবে - আমি যা করি করি গুরু আছে সামলে নেবে।কিন্তু গুরু তো নিজে সাধনা করে সাধনশক্তি অর্জন করেছেন।শিষ্যের প্রারব্ধের প্রতিকার করার জন্যে কেন তিনি নিজের সাধনশক্তি দেবেন? তাই তাঁর উচিত শিষ্যকে আগে দীক্ষার স্তরের উপযুক্ত করে নিয়ে তারপর দীক্ষা দেয়া। কারণ আধ্যাত্মিক জগতের উপর আকর্ষণ না জাগলে,নিজেকে জানার বা বোঝার ইচ্ছা না জাগলে দীক্ষা নেয়ার যোগ্যই হয়না মানুষ। তাই এদের দীক্ষা দেয়া মানে গুরুর নিজের আটকে যাওয়া।কারণ প্রতিটি শিষ্য মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত গুরুর যে মুক্তি নেই।
No comments:
Post a Comment