ধর্ম,অধ্যাত্মবাদ ও আধ্যাত্মিকতা
আজকে ডাক্তার শুভাশীষ গাঙ্গুলী আমায় প্রশ্ন করেছিলেন ধর্ম,অধ্যাত্মবাদ ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে পার্থক্য কি।তার উত্তরে বললাম - ধর্ম,অধ্যাত্মবাদ ও আধ্যাত্মিকতা যদি একটা পিরামিড ভাবা হয় তবে ধর্ম হল নিম্নতম স্থান,অধ্যাত্মবাদের স্থান এর উপরে এবং পিরামিডের চূড়ায় থাকছে আধ্যাত্মিক চেতনা।
প্রথম ধাপে আছে ধর্ম - যেমন হিন্দু ধর্ম,মুসলমান ধর্ম,খ্রীষ্টান ধর্ম প্রমুখ। অর্থাৎ, যেটা মানুষের তৈরী ইশ্বরের কাছে যাবার জন্যে আপন দেশ কাল গন্ডীর সীমায় আবদ্ধ থেকে।তাই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মে একেক রকম ভাবনা - কেউ ভগবানকে ডাকেন,তো কেউ আল্লাকে।এটা মানুষদের তৈরী।তবে কোনো ধর্মই মিথ্যা নয়। ইশ্বরের কাছে যাওয়ার জন্যে পথের শুরু বলা যায়।
ধর্মের গভীরে যদি যাওয়া যায় তবে দেখা যাবে তার যে আসল ভাব সেটি হল অধ্যাত্মবাদ। অর্থাৎ, ইশ্বরকে ভালোবেসে তার কাছে পৌছনোর জন্যে যে বিভিন্ন জ্ঞান,যোগ বা ভক্তির পথ তা এখান থেকে শুরু। এখানে অধ্যাত্মবাদে কোনো ধর্মের সংকীর্ণতার মধ্যে মানুষ আবদ্ধ হয়না। যারা ধর্মের দেশ কাল পাত্রের গন্ডীর উপরে উঠতে পেরেছেন তারাই এই অধ্যাত্মবাদ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন আর কিভাবে সেই অধ্যাত্মবাদকে আয়ত্ত করা যায় সেজন্যে চেষ্টা শুরু করেন।
আর সেই অধ্যাত্মবাদ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে করতে যারা সেই পথে এগোতে শুরু করেন গুরু নির্দিষ্ট উপায়ে তাদের মধ্যেই জাগে আধ্যাত্মিক চেতনা।তারাই হলেন যথার্থ আধ্যাত্মিক পথের পথিক। সব মিলিয়ে বলতে গেলে, আধ্যাত্মিক হওয়াই আসল।কারণ সকল ধর্মের আসল cream হলো আধ্যাত্মিক চেতনা। তাইতো আধ্যাত্মিক পথের গভীরে গিয়ে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন "যত মত তত পথ।" এই উপলব্ধিই আসে আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত হলে।
No comments:
Post a Comment