যোগ ১ - মুলাধার চক্র
(পাঠক পাঠিকারা অনেকেই আমাকে যোগ নিয়ে লিখতে বলছেন।অতএব তাঁদের জন্যে এই যোগের কলামটা শুরু করলাম।যোগের মূল হলো মূলাধার।তাই মূলাধার দিয়েই শুরু হলো আমার লেখা।)
মুলাধারের অবস্থান আমাদের spinal এর শুরুতে। এটি হল হলুদরঙা চতুষ্কোণ বা square আকারের পদ্ম যার পাঁপড়ি আছে ৪টি। পাঁপড়ির রং লাল।মুলাধারের অধিষ্ঠানকর্তা হলেন ইন্দ্র।তিনিও পীতবর্ণসম্পন্ন। হাতে বজ্র।অনেক জায়গায় অবশ্য গানেশ্জিকেও ধরা হয় এখানকার অধিষ্ঠানকর্তা হিসেবে।তাঁর বর্ণ গেরুয়া।লেবুরঙের ধুর্তি তাঁর পরণে।
এখানকার বীজমন্ত্র হলো "লং".এই বিজর ঠিক নীচে একটি ত্রিকোণ আছে -সেখানেই সুপ্তভাবে কুন্ডলিনি বিরাজ করেন।একটি ধুসর লিঙ্গকে সাড়ে তিন পাকে জড়িয়ে তিনি সুপ্তভাবে থাকেন নিদ্রিতরূপে। এই শক্তি যতক্ষণ নিদ্রিত থাকে ততক্ষণ মানুষও পশুর মত থাকে।তার উত্তরণের শুরু হয় এই শক্তি জাগ্রত হলে।এখান থেকেই সুষুম্না নাড়ির উদ্ভব ঘটে।এর বাঁ দিক থেকে ওঠে ইড়া নাড়ি এবং ডানদিক থেকে পিঙ্গলা নাড়ি ।ইড়া নাড়ি চন্দ্র্স্বরূপা, পিঙ্গলা নাড়ি সূর্যস্বরূপা এবং সুষুম্না নাড়ি চন্দ্র,সূর্য ও অগ্নি স্বরূপা।
এই চক্রের চারটি পাঁপড়িনির্দেশ করে ধর্ম,অর্থ,কম,মোক্ষ।এখান থেকেই সবার সাধনার শুরু।এর তত্ত্ব হলো পৃথিবী এবং এর ইন্দ্রিয় ঘ্রানেন্দ্রিয়।
মুলাধারের শক্তি বৃদ্ধির জন্যে গরুড়াসন,সিধ্ধাসন খুব উপকারী। সেইসাথে অনুলোম-বিলোম,নাসিকাগ্র দৃষ্টি প্রাণায়াম ও মুলবন্ধ অভ্যাস করা প্রয়োজন।সেইসাথে চাই বীর্যধারণ ও ব্রহ্মচর্যের অভ্যাস। এই মূলাধার থেকেই আমাদের সাধনার শুরু।মুলাধারকে ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সাধনপথে চলা শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment