ভক্তি রাখুন ভালো কথা কিন্তু অন্য ভক্তদের অসুবিধা করে নয়
ভক্তিমার্গে থাকা ভালো কিন্তু "পূজাটা আমার হলেই হল। বাকিদের যা হবে তারা বুঝবে" - এই mentality -টা মানতে পারলাম না।আজকের অভিজ্ঞতার কথা বলি - আজকে যথারীতি কালীমন্দিরে পূজা দিয়ে নবগ্রহ মন্দিরে পূজা দিয়েছি।এরপর বাকি মহাবীর হনুমানজীর সামনে হনুমান চালীসা পাঠ ও নকুলেশ্বরকে পূজা দেয়া ও জপ।(নকুলেশ্বর মহাদেবকে পূজা না দিলে কালিঘাটের মা কালীকে পূজা দেয়ার পূর্ণফল মেলেনা) নবগ্রহ মন্দিরের পাশেই একটু উঁচুতে বটগাছের গোড়ায় হনুমানজীর মন্দির।সেখানে উঠে প্রণাম করতে যাব এমন সময়ে হাতে ছ্যাঁকা - দেখলাম কোনো ভক্ত কিছুক্ষণ আগে এক গুচ্ছ ধুপ জ্বালিয়ে হনুমানজীর সামনের একটি গর্তে রেখে গেছেন আর আমার হাতের কনুই পরেছে সজোরে সেই জ্বলন্ত ধুপের মধ্যে এবং দুটো ধুপের মাথা ভেঙ্গে আগুনটা আবার কনুইতে আটকে গেছে। সেই অবস্থায় হাত থেকে ওটা ঝেড়ে ফেলে হনুমান চালীসা পাঠ করলাম ও তারপর নকুলেশ্বরকে পূজা দিয়ে সেখানে বসেও জপ করলাম।তারপর যখন ওষুধ কিনে লাগালাম ততক্ষণে একটু নাদুসনুদুস ফোস্কা কনুইতে পরে গেছে।তবে আশ্চর্য - কোনো জ্বলন কিন্তু হয়নি। পুড়ে গেলে বা ফোস্কা পড়লে যেমন জ্বলে তেমনটি হয়নি।উপলব্ধি করলাম - মা কৃপা করলে পুড়লেও জ্বলনের অনুভুতি হয়না।অতীতে শিবানন্দ গিরি মহারাজকে দেখেছিলাম হাত পুড়ে যাওয়াসত্তেও ঘন্টার পর ঘন্টা খোল করতাল বাজিয়ে যেতে। তিনিই তখন বলেছিলেন যে মায়ের নামের মধ্যে থাকলে কোনো যন্ত্রণাই কষ্ট দেয়না। আজ সেই মহাসাধকের কথাটা উপলব্ধি করলাম। তবু বলব - যারা মন্দিরে পূজা দিতে যাবেন যেখানে সেখানে জ্বলন্ত ধুপ রেখে আসবেননা। সেটা যদি অন্য মানুষের কষ্টের কারণ হয় তাহলে কিন্তু আপনার কর্মফলে একটি কালো দাগই বাড়ল। ভক্তি রাখুন ভালো কথা কিন্তু অন্য ভক্তদের অসুবিধা করে নয়।
No comments:
Post a Comment