পরনিন্দা পরচর্চা
মানুষকে সম্মান দেয়ার চেয়ে বড় গুণ হয়না।ছেলেবেলায় আমি নামাবতার শ্রী শ্রী সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের দর্শন করেছিলাম। তিনি এতই মাটির মানুষ ছিলেন যে যে ব্যক্তিই তাঁর সামনে আসত তাকেই তিনি প্রণাম করতেন। আসলে তিনি সকল জীবের ভিতরে বসে থাকা ইশ্বরকে সম্মান দিতেন। (কোনো কোনো মানুষ অবশ্য সে সময়ে সেই অবস্থার ছবি তুলে নিজের publicityতে কাজে লাগিয়েছেন বলে শোনা যায়)
অথচ আজকাল আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যেই রয়েছে একের অপরকে ছোট প্রমাণ করার একটা প্রচেষ্টা। মানুষ যে জগতের কাছে ছুটে আসছে শান্তির জন্যে সেই জগতের মানুষরাই অন্য গুরু বা সাধকের নামে কাদা ছেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ফল হয় অন্য - তাদের প্রতি জনমানসে যে শ্রদ্ধার জায়গা তৈরী হয়েছে সেটা নষ্ট হয়ে যায়।
আমার কাছেও অনেক মানুষ এসে অন্য গুরুর বা অন্য আধ্যাত্মিক লেখকের নামে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আমি বলতে দেইনি।কথা শুরু করতে না করতেই থামিয়ে দিয়েছি। কারণ পরনিন্দা পরচর্চা আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের শোভা পায়না।
সেদিন শুনছিলাম একজন আধ্যাত্মিক লেখক আমার বই সম্বন্ধে নানা বাজে কথা বলেছেন তাঁর এক ভক্তের কাছে। শুনে ভাবলাম - যাক নির্ঘাৎ আগের জন্মে আমি ওনার কোনো উপকার করেছিলাম তাই এ জন্মে উনি আমার ধোপার কাজ করছেন মিথ্যে সমালোচনার মাধ্যমে আমার প্রারব্ধ টেনে নিয়ে। তাই ওনাকে দূর থেকেই নমষ্কার জানিয়ে প্রার্থনা করেছি -উনি যেন আরো অনেকদিন বেঁচে থাকেন এবং আরো অনেকদিন ধরে আমার ভুলভাল সমালোচনা করেন যাতে আমার প্রারব্ধক্ষয় আরো দ্রুত হয়। তবে আমি ওনার পাপ নিতে রাজি নই। তাই ভুলেও ওনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবনা।
আমি জীবনের উষাবেলায় ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের কাছে যা শিখেছি সেটাই অনুসরণ করব জীবনভর। সম্মান সবাইকেই দেব - সে যে আমায় যতই কলসীর কানা মারুক। কারণ ঠাকুর সব দেখছেন - দিনের শেষে বিচার তো তিনিই করবেন।
মানুষকে সম্মান দেয়ার চেয়ে বড় গুণ হয়না।ছেলেবেলায় আমি নামাবতার শ্রী শ্রী সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের দর্শন করেছিলাম। তিনি এতই মাটির মানুষ ছিলেন যে যে ব্যক্তিই তাঁর সামনে আসত তাকেই তিনি প্রণাম করতেন। আসলে তিনি সকল জীবের ভিতরে বসে থাকা ইশ্বরকে সম্মান দিতেন। (কোনো কোনো মানুষ অবশ্য সে সময়ে সেই অবস্থার ছবি তুলে নিজের publicityতে কাজে লাগিয়েছেন বলে শোনা যায়)
অথচ আজকাল আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যেই রয়েছে একের অপরকে ছোট প্রমাণ করার একটা প্রচেষ্টা। মানুষ যে জগতের কাছে ছুটে আসছে শান্তির জন্যে সেই জগতের মানুষরাই অন্য গুরু বা সাধকের নামে কাদা ছেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ফল হয় অন্য - তাদের প্রতি জনমানসে যে শ্রদ্ধার জায়গা তৈরী হয়েছে সেটা নষ্ট হয়ে যায়।
আমার কাছেও অনেক মানুষ এসে অন্য গুরুর বা অন্য আধ্যাত্মিক লেখকের নামে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আমি বলতে দেইনি।কথা শুরু করতে না করতেই থামিয়ে দিয়েছি। কারণ পরনিন্দা পরচর্চা আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের শোভা পায়না।
সেদিন শুনছিলাম একজন আধ্যাত্মিক লেখক আমার বই সম্বন্ধে নানা বাজে কথা বলেছেন তাঁর এক ভক্তের কাছে। শুনে ভাবলাম - যাক নির্ঘাৎ আগের জন্মে আমি ওনার কোনো উপকার করেছিলাম তাই এ জন্মে উনি আমার ধোপার কাজ করছেন মিথ্যে সমালোচনার মাধ্যমে আমার প্রারব্ধ টেনে নিয়ে। তাই ওনাকে দূর থেকেই নমষ্কার জানিয়ে প্রার্থনা করেছি -উনি যেন আরো অনেকদিন বেঁচে থাকেন এবং আরো অনেকদিন ধরে আমার ভুলভাল সমালোচনা করেন যাতে আমার প্রারব্ধক্ষয় আরো দ্রুত হয়। তবে আমি ওনার পাপ নিতে রাজি নই। তাই ভুলেও ওনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবনা।
আমি জীবনের উষাবেলায় ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের কাছে যা শিখেছি সেটাই অনুসরণ করব জীবনভর। সম্মান সবাইকেই দেব - সে যে আমায় যতই কলসীর কানা মারুক। কারণ ঠাকুর সব দেখছেন - দিনের শেষে বিচার তো তিনিই করবেন।
Mala Ganguly:
ReplyDeleteRespected Tarashisda,today I sent this blog to Sri Sri Shuddhaanandaa Brahmachariji,and reading it ,he sent this message to me.Iam conveying the message to u here.Hope u will like his message.I am doing the copy paste here.
Sri Sri Shuddhaanandaa
beautiful blog. Loved it. a good teaching out of practice. I don't think there can be any better path to finish the karma than this, bless them who harm you, for they are your best friends washing your karma clean!