নিবৃত্তির পথেই শান্তি
মানুষ প্রবৃত্তির দাস।প্রবৃত্তি তাকে যেভাবে চালিত করে,সে সেভাবেই এগোয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ দেখিয়েছেন প্রবৃত্তির মধ্যে থেকেও নিবৃত্তিতে পৌঁছনো যায়।অর্থাৎ সংসারে থেকেও অনাসক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে হৃদয়ে। আমরা ভাবি আসক্তি হলো শক্তি আর অনাসক্তি হলো দুর্বলতা। কিন্তু ভাবনাটা ভুল।আমাদের দুর্বলতা হলো আসক্তি আর তার জন্যেই আমাদের যত কষ্ট। আমার কাছে যে ভক্তরা আসেন অধিকাংশই জাগতিক জীবনে আঘাত পেয়ে আসেন। অর্থাৎ সেই আসক্তির দ্বারা আহত।একে জয় করার একমাত্র উপায় নিবৃত্তি। তার মানে কি সংসার থেকে পালিয়ে গিয়ে হিমালয়ের গুহায় বসে থাকা?তা নয়।সংসারে থেকেও নিবৃত্তিসাধন সম্ভব।শ্রীকৃষ্ণ তো ঘোরতর সংসারী ছিলেন বহিরঙ্গের দিক থেকে কিন্তু অন্তরঙ্গে তিনি ছিলেন মহাযোগী - ১৬,০০০ স্ত্রী নিয়েও তিনি ছিলেন নিস্পৃহ। সংসারে থেকেও সংসারের উর্ধ্বে ছিলেন তিনি। অনাসক্তি ছিল তার শক্তি।একই কথা শ্যামাচরণ লাহিড়ির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ -আমরা এই জাগতিক জীবনের মাঝেই থাকব।ঠাকুর আমাদের যে কাজ দিয়েছেন তাই করব কিন্তু কোন আসক্তিতে জড়াবো না।সব কর্তব্য করব কিন্তু নিস্পৃহভাবে ফলের আশা না করে। তবেই তো আসবে যথার্থ শান্তি। তাই সংসারে প্রবৃত্তি আমাদের বাঁধতে চাইলেও তার মধ্য দিয়েই আমদের যেতে হবে নিবৃত্তিতে।তবেই আসবে শান্তি। তখনি মানুষ পৌঁছবে ইশ্বরের স্তরে।
অনেকে হয়ত বলবেন -আজকাল তো দিকে দিকে সাধুরা ভগবান হয়ে বসছেন।এরা কি সবাই পৌঁছতে পেরেছেন ইশ্বরের জায়গায়?আমি বলব -না,সবাই পারেননি ঠিকই।তবে সবাই পারেননি বলে সবাইই যে ব্যর্থ এমনও ভেবে নেয়ার কারণ নেই। শুধু যিনি যথার্থ তাকে চিনে নিতে হবে।
তাঁকে চেনার চিহ্নও আছে - যিনি ইশ্বরের জায়গায় বা উচ্চকোটিতে পৌঁছতে পেরেছেন তার মধ্যে থাকবে তিনটি চিহ্ন - অনন্ত জ্ঞান,অনন্ত প্রেমরস আর অনন্ত আনন্দ। অর্থাৎ - ১)আধ্যাত্মিক বিষয়ে থাকবে তার বিরাট জ্ঞান যা মানুষকে সাহায্য করবে তার প্রশ্নের উত্তর পেতে।২) তার মধ্যে থাকবে মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসার শক্তি যা তাদের সকল দুঃখ আর না পাওয়ার যন্ত্রণা ভুলিয়ে ইশ্বরমুখী করে তুলবে। ৩)আর সবচেয়ে বড় কথা,তিনি হবেন পরম আনন্দময় - তাঁর সাথে কথা বললে বা তাঁর কথা শুনলে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হবে আনন্দ।
তাঁকে চেনার চিহ্নও আছে - যিনি ইশ্বরের জায়গায় বা উচ্চকোটিতে পৌঁছতে পেরেছেন তার মধ্যে থাকবে তিনটি চিহ্ন - অনন্ত জ্ঞান,অনন্ত প্রেমরস আর অনন্ত আনন্দ। অর্থাৎ - ১)আধ্যাত্মিক বিষয়ে থাকবে তার বিরাট জ্ঞান যা মানুষকে সাহায্য করবে তার প্রশ্নের উত্তর পেতে।২) তার মধ্যে থাকবে মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসার শক্তি যা তাদের সকল দুঃখ আর না পাওয়ার যন্ত্রণা ভুলিয়ে ইশ্বরমুখী করে তুলবে। ৩)আর সবচেয়ে বড় কথা,তিনি হবেন পরম আনন্দময় - তাঁর সাথে কথা বললে বা তাঁর কথা শুনলে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হবে আনন্দ।
যে মানুষের কাছে গেলে এই তিনটির আস্বাদ মিলবে বুঝতে হবে তিনিই ইশ্বরের কাছে যেতে পেরেছেন বা ইশ্বরকোটিতে উঠতে পেরেছেন। তখন তাঁকেই ধরে থাকতে হয়।এঁরাই হন ঠাকুরের ভাষায় সেই গাদাবোট যারা বাকি সব বোটদের টেনে নিয়ে যান উত্তরণের পথে।
No comments:
Post a Comment