সম্পর্কের আসা-যাওয়া
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
আমরা কিছুই নিয়ে আসিনি উপর থেকে,কিছুই নিয়ে যাবনা।যা এখান থেকে নিয়েছি তা সব এখানেই রেখে যাব।আমাদের সঙ্গী শুধু থাকবে আমাদের কর্ম। তবু আমরা জড়িয়ে যাই নানা সম্পর্কের জালে। আর কোনো সম্পর্ক কেটে গেলেই উদ্ভ্রান্ত হয়ে পড়ি। বিশেষতঃ তা যদি প্রেমের সম্পর্ক হয় তবে তো কথাই নেই। কেউ কেউ তো আবার আত্মহত্যাও করে কোনো ছেলেকে বা মেয়েকে জীবনে না পেলে। আমাদের সমাজে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।
কিন্তু আমি সেইসব ছেলেমেয়েদের বলব - একজনকে পেলেনা বলে কেন জীবন শেষ করে দেয়ার কথা ভাববে?জীবন তো তোমার অনেক বিশাল।তার যথোপযুক্ত ব্যবহার কর।জীবন শেষ করে দেয়া মানে তো জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া । সেটা করে কেন বহুমূল্যে পাওয়া এই জীবন নষ্ট করবে?যাকে চেয়েছ তাকেই যে পেতে হবে এমন তো কোনো মানে নেই।তোমার উপরে নীল আকাশের আসনে যিনি বসে আছেন তিনি তোমার সব খবর রাখছেন আর তোমার জন্যে যেটা সবচেয়ে ভালো হবে তার ব্যবস্থাও তিনি করবেন।তাঁর উপর ভরসা রাখো আর জীবনপথে এগিয়ে যাও।
জানবে - প্রতিটি সম্পর্ক চলে আগের জন্মের ঋণানুবন্ধ অনুযায়ী।যার থেকে যতটুকু তোমার পাওয়ার ততটুকুই পাবে। তারপর সে হারিয়ে যাবে তোমার জীবন থেকে। কাউকে নিজের ইচ্ছায় তুমি কখনোই ধরে রাখতে পারবেনা।ঋণ ফুরোলেই সব ভোকাট্টা।তাই আজকে যাকে ছাড়া তোমার চলবেনা ভাবছ কালকে দেখবে সে তোমার চিন্তাতেও স্থান পাবেনা।এই মায়ার জগতের এটাই নিয়ম।কিন্তু কালকের জন্যে অপেক্ষা তো করতে হবে তোমায়।নাহলে সেই দিনটা দেখবে কিভাবে?
কিন্তু তাই বলে নিজে থেকে কোনো সম্পর্ক নষ্ট করবেনা কারণ ভালবাসার সম্পর্ক মেলে বহু ভাগ্যের ফলে।অতএব সকল সম্পর্কের জন্যেই তোমার কর্তব্য করবে কিন্তু কোনো সম্পর্কের মায়াতেই জড়াবেনা। তাহলে দেখবে এই সম্পর্কের ঢেউ-এর আসা যাওয়া তোমাকে ভাবাতেও পারবেনা। তাই সব ছেড়ে দাও ঠাকুরের উপর।যাকে তিনি আনবেন তাকে বরণ করে নাও আর যাকে তিনি ছিনিয়ে নেবেন তোমার কাছ থেকে তাকে সানন্দে বিদায় দাও। জোর করে সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখা যায়না আর সেটা না টিঁকলেই যে সব গেল এমন ভাবনাকেও মনে স্থান দিওনা।অবিদ্যা মায়ার এটাই খেলা।আজ আসবে,কাল যাবে।কিন্তু তা নিয়ে কখনো ভাববেনা।ইশ্বর যাই দেবেন তা বরণ করে নেবে হাসিমুখে - তবেই দেখবে দুঃখ পর্যন্ত সুখ হয়ে উঠবে আনন্দসাগর উঠলে।
তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
আমরা কিছুই নিয়ে আসিনি উপর থেকে,কিছুই নিয়ে যাবনা।যা এখান থেকে নিয়েছি তা সব এখানেই রেখে যাব।আমাদের সঙ্গী শুধু থাকবে আমাদের কর্ম। তবু আমরা জড়িয়ে যাই নানা সম্পর্কের জালে। আর কোনো সম্পর্ক কেটে গেলেই উদ্ভ্রান্ত হয়ে পড়ি। বিশেষতঃ তা যদি প্রেমের সম্পর্ক হয় তবে তো কথাই নেই। কেউ কেউ তো আবার আত্মহত্যাও করে কোনো ছেলেকে বা মেয়েকে জীবনে না পেলে। আমাদের সমাজে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।
কিন্তু আমি সেইসব ছেলেমেয়েদের বলব - একজনকে পেলেনা বলে কেন জীবন শেষ করে দেয়ার কথা ভাববে?জীবন তো তোমার অনেক বিশাল।তার যথোপযুক্ত ব্যবহার কর।জীবন শেষ করে দেয়া মানে তো জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া । সেটা করে কেন বহুমূল্যে পাওয়া এই জীবন নষ্ট করবে?যাকে চেয়েছ তাকেই যে পেতে হবে এমন তো কোনো মানে নেই।তোমার উপরে নীল আকাশের আসনে যিনি বসে আছেন তিনি তোমার সব খবর রাখছেন আর তোমার জন্যে যেটা সবচেয়ে ভালো হবে তার ব্যবস্থাও তিনি করবেন।তাঁর উপর ভরসা রাখো আর জীবনপথে এগিয়ে যাও।
জানবে - প্রতিটি সম্পর্ক চলে আগের জন্মের ঋণানুবন্ধ অনুযায়ী।যার থেকে যতটুকু তোমার পাওয়ার ততটুকুই পাবে। তারপর সে হারিয়ে যাবে তোমার জীবন থেকে। কাউকে নিজের ইচ্ছায় তুমি কখনোই ধরে রাখতে পারবেনা।ঋণ ফুরোলেই সব ভোকাট্টা।তাই আজকে যাকে ছাড়া তোমার চলবেনা ভাবছ কালকে দেখবে সে তোমার চিন্তাতেও স্থান পাবেনা।এই মায়ার জগতের এটাই নিয়ম।কিন্তু কালকের জন্যে অপেক্ষা তো করতে হবে তোমায়।নাহলে সেই দিনটা দেখবে কিভাবে?
কিন্তু তাই বলে নিজে থেকে কোনো সম্পর্ক নষ্ট করবেনা কারণ ভালবাসার সম্পর্ক মেলে বহু ভাগ্যের ফলে।অতএব সকল সম্পর্কের জন্যেই তোমার কর্তব্য করবে কিন্তু কোনো সম্পর্কের মায়াতেই জড়াবেনা। তাহলে দেখবে এই সম্পর্কের ঢেউ-এর আসা যাওয়া তোমাকে ভাবাতেও পারবেনা। তাই সব ছেড়ে দাও ঠাকুরের উপর।যাকে তিনি আনবেন তাকে বরণ করে নাও আর যাকে তিনি ছিনিয়ে নেবেন তোমার কাছ থেকে তাকে সানন্দে বিদায় দাও। জোর করে সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখা যায়না আর সেটা না টিঁকলেই যে সব গেল এমন ভাবনাকেও মনে স্থান দিওনা।অবিদ্যা মায়ার এটাই খেলা।আজ আসবে,কাল যাবে।কিন্তু তা নিয়ে কখনো ভাববেনা।ইশ্বর যাই দেবেন তা বরণ করে নেবে হাসিমুখে - তবেই দেখবে দুঃখ পর্যন্ত সুখ হয়ে উঠবে আনন্দসাগর উঠলে।
No comments:
Post a Comment